Farmers’ Protest

কৃষকদের দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য কমিটি তৈরির ভাবনা সরকারের, রবিবার ফের বৈঠক

শনিবার কৃষক আন্দোলন পাঁচ দিনে পড়ল। শুক্রবার ‘ভারত বনধ্‌’-এর ডাক দিয়েছিলেন কৃষকেরা। কেন্দ্রের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা পৌঁছে দিতে মঙ্গলবার থেকে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:০৮
Share:

কৃষক আন্দোলন। ছবি পিটিআই।

কৃষক নেতাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তিন তিনটি বৈঠক করে ফেলেছেন। মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। রবিবার আবারও বৈঠকে বসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই একটি নতুন কমিটি তৈরির প্রস্তাব করা হতে পারে। কমিটিতে যেমন থাকবেন সরকারি কর্মীরা, তেমনই থাকবেন কৃষক নেতারাও। সেখানেই ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) আইনি বৈধতা-সহ কৃষকদের দাবি নিয়ে পর্যালোচনা করা হতে পারে।

Advertisement

সরকারি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, একাধিক দাবি নিয়ে কৃষকদের চলমান আন্দোলন নিয়ে ভাবছে সরকার। মোদী সরকারও চায়, যত দ্রুত সম্ভব ‘রফাসূত্র’ বার করার। কৃষকদের দাবির সমাধান খুঁজতে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। কৃষিক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সরকারি, বেসরকারি সংস্থা-সহ সমস্ত স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করার জন্যই কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হতে পারে।

শনিবার কৃষক আন্দোলন পাঁচ দিনে পড়ল। শুক্রবার ‘ভারত বনধ্‌’-এর ডাক দিয়েছিলেন কৃষকেরা। কেন্দ্রের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা পৌঁছে দিতে মঙ্গলবার থেকে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন কৃষকেরা। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা— মূলত এই তিন রাজ্যের প্রায় সাড়ে তিনশোটি ছোট-বড় কৃষক সংগঠন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। যা নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই সরগরম পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের একাংশ।

Advertisement

আন্দোলনে নামা কৃষকদের দাবি, ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে। একই সঙ্গে, সমস্ত কৃষিঋণ মকুব করতে হবে। স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাব মেনে ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ২০২০-২১ সালের প্রতিবাদে কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা খারিজের দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

যদিও এখনও আন্দোলনকারীরা দিল্লিতে ঢুকতে পারেননি। দিল্লি-সোনিপত লাগোয়া সিঙ্ঘু এবং দিল্লি-বাহাদুরগড় লাগোয়া টিকরি সীমানায় জমায়েত করে আছেন কৃষকেরা। কৃষকদের সঙ্গে তিনটি বৈঠক করেছে কেন্দ্র সরকার। প্রথম বৈঠকটি হয় ৮ ফেব্রুয়ারি। পরের দু'টি যথাক্রমে ১২ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি। তিনটি বৈঠকই অমীমাংসিত। এই পরিস্থিতিতে জট কী ভাবে খুলতে পারে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement