উচ্চবর্ণের গরিবদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণে সংবিধান লঙ্ঘন হচ্ছে না বলে যুক্তি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তারা জানিয়েছে, সকলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতেই এই ব্যবস্থা।
লোকসভা ভোটের আগে গরিবদের মন জিততে মোদী সরকার উচ্চবর্ণের গরিবদের জন্যও চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের বন্দোবস্ত করেছে। কিন্তু তা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চে ফয়সালা হবে কি না, ২৮ মার্চ তা ঠিক হবে। সুপ্রিম কোর্টে মোদী সরকারের যুক্তি, এনএসএসও-র সমীক্ষা অনুযায়ী তফসিলি জাতি, জনজাতি বা ওবিসি-দের মধ্যে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষের হার যে বেশি তা নয়। জেনারেল ক্যাটেগরি বা অসংরক্ষিত শ্রেণির মধ্যেও গরিবদের হার যথেষ্ট বেশি। প্রায় ১৮ শতাংশ। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এস আর সিনহোর নেতৃত্বাধীন আর্থিক অনগ্রসর শ্রেণি কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতেই এই সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিরোধীরা সংসদে সরকারের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, এতে সংবিধান লঙ্ঘন হচ্ছে। কারণ সংবিধান অনুযায়ী ৫০ শতাংশের বেশি আসনকে সংরক্ষণের আওতায় আনা যায় না। সুপ্রিম কোর্ট নিজেও ইন্দিরা সাহনী মামলার রায়ে সে কথা বলেছে। কিন্তু উচ্চবর্ণের গরিবদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে গিয়ে সংরক্ষিত আসন ৫০ শতাংশ ছাপিয়ে গিয়েছে। মোদী সরকারের যুক্তি, সংবিধানের যে ধারায় সংশোধন হয়েছে তাতে এমন কোনও বাধা নেই।