ফাইল চিত্র।
২০২২-এ সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন ২০২১-এর ২৩ জানুয়ারি থেকেই শুরু করে দিচ্ছে মোদী সরকার। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের আগে বাঙালির অন্যতম আদর্শ ব্যক্তিত্বকে নিয়ে কেন্দ্রের এই উৎসাহ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনীতিকরা মনে করছেন।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিংহ পটেল আজ এ বিষয়ে বৈঠকের পরে ঘোষণা করেছেন, এক বছর ধরে সুভাষচন্দ্রের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত হবে। এই উপলক্ষে কলকাতায় সুভাষচন্দ্রের বিষয়ে সংগ্রহশালা তৈরি হবে। দিল্লির লাল কেল্লায় সুভাষচন্দ্র ও আজাদ হিন্দ ফৌজের বিষয়ে সংগ্রহশালারও সম্প্রসারণ হবে। বিভিন্ন দেশে ভারতের দূতাবাস ও হাইকমিশনও নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী পালন করবে। সূত্রের খবর, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দিতে আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানীদের আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী এখন নিয়মিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে অরবিন্দ ঘোষের মতো ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করছেন। মনোমোহন বসুর কবিতাও আবৃত্তি করেছেন। বিরোধী শিবির মনে করছে, বিজেপি বাংলায় ‘বহিরাগত’ তকমা ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। সুভাষচন্দ্রকে নিয়ে বাড়তি উৎসাহও তারই অঙ্গ। বিজেপি অবশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছে, মোদী সরকারই পাঁচ বছর আগে সুভাষচন্দ্র সংক্রান্ত গোপন নথি প্রকাশ করেছিল। সে সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও রাজ্যের হেফাজতে থাকা নেতাজি সংক্রান্ত গোপন ফাইল প্রকাশ করে।
সংস্কৃতি সচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ জানান, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সুভাষচন্দ্রকে নিয়ে প্রদর্শনী হবে। সুভাষচন্দ্র বসু স্মারক বক্তৃতার জন্য বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এই উপলক্ষে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত কর্মসূচি’-র আওতায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এ দিনের বৈঠকে সুভাষচন্দ্রের পরিবারের চন্দ্রকুমার বসু, অর্ধেন্দু বসু, রেণুকা মালাকার যোগ দেন। সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, নেতাজির পরিবার ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্যদের কাছে প্রচুর ঐতিহাসিক নথি, ছবি, ভিডিয়ো, স্মারক রয়েছে। সে সব এক জায়গায় প্রদর্শনীর জন্য নিয়ে আসা হবে। বৈঠকে সুভাষচন্দ্রের লেখা কিছু বই নতুন করে প্রকাশের পরামর্শ এসেছে। পড়ুয়াদের বৃত্তিও দেওয়া হবে।