ধোঁয়াশায় মোড়া দিল্লির ভোরের দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স।
দিল্লি-সহ উত্তর ভারতে ধোঁয়াশার দাপট কমেনি। রবিবারও শতাধিক বিমানের সময়সূচিতে পরিবর্তন করতে হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবাও। অথচ রবিবারই রাজধানীতে বিধিনিষেধ ‘জিআরএপি ৩’ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৩) শিথিল করল কেন্দ্র! গত কয়েক সপ্তাহে দূষণ সামান্য হলেও কমেছে, এমনটাই যুক্তি কেন্দ্রের।
কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, রাজধানীর বাতাসের গুণগতমান বা একিউআই কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। ‘ভয়ানক’ পর্যায় থেকে নেমে ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে বাতাসের গুণমান। দূষণের মাত্রা কমতেই দিল্লি এবং সংলগ্ন এনসিআর এলাকায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যের স্কুলগুলিতে ‘হাইব্রি়ড মডেলে’ পঠনপাঠনের পরিবর্তে রোজ স্কুলে এসে পঠনপাঠন শুরু করা যাবে। দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে যান চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ শিথিল হচ্ছে। দিল্লির রাস্তায় ফের চলাচল করতে পারবে বিএস ৩-এর নীচে থাকা পেট্রল গাড়ি এবং বিএস ৪-এর নীচে থাকা ডিজ়েল গাড়ি। চালানো যাবে পণ্যবাহী মাঝারি আকারের যানও। যে কোনও ধরনের নির্মাণকাজ কিংবা ভাঙার কাজ ফের শুরু করা যাবে বলেও জানানো হয়েছে।
রবিবার ভোরে রাজধানীর পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে আসে। তার জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়ে সড়ক, বিমান এবং ট্রেন চলাচলে। রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ৩৩৯। বিকেল ৫টা নাগাদ তা ৩৩৫-এ এসে ঠেকেছে। দুটোই ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে পড়লেও বাতাসের গুণমান যে বাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না! সেই আবহেই দিল্লিতে কড়াকড়ি শিথিল করার কথা ভাবছে দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ।