অমিত শাহ।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও, বন্দি ও গৃহবন্দি রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির প্রশ্নে কেন্দ্র কোনও হস্তক্ষেপ করবে না বলে আজ লোকসভায় জানিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসন যে দিন ওই নেতাদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবে, সে দিনই তাঁরা ছাড়া পাবেন।
লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী এ দিন জানতে চান, গত অগস্ট থেকে গৃহবন্দি এনসি সাংসদ ফারুক আবদুল্লা ও উপত্যকার বাকি বন্দি রাজনৈতিক নেতাদের কবে মুক্তি দেওয়া হবে? জবাবে অমিত বলেন, ‘‘কংগ্রেসই ফারুক আবদুল্লার বাবা (শেখ আবদুল্লা)-কে ১১ বছর জেলে রেখেছিল। আমরা তা অনুসরণ করতে বা অতিরিক্ত একটি দিনও নেতাদের জেলে রাখার পক্ষপাতী নই। স্থানীয় প্রশাসন যে দিন উচিত মনে করবে, সে দিনই তাঁদের মুক্তি দেবে। কেন্দ্র কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।’’
প্রায় পাঁচ মাস ধরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি রয়েছে কাশ্মীরে। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট। কিন্তু আজ লোকসভায় দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, কাশ্মীরের পরিস্থিতি একেবারে শান্ত। রাজ্যের ৯৯.৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছে। এর পরেই শাহের কটাক্ষ, ‘‘যদিও কংগ্রেস স্বাভাবিক পরিস্থিতি বলতে যা বোঝায়, তার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ কংগ্রেসের বক্তব্য ছিল, অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহার করলে সেখানে রক্তগঙ্গা বইবে। বাস্তবে একটি বুলেটও চলেনি। পরিস্থিতি সেখানে পুরো স্বাভাবিক।’’
এ দিনই কাশ্মীরে কড়াকড়ির জেরে মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত উগো অ্যাস্টুলো। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এফএটিএফের নির্দেশ মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত পাকিস্তানের।