কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
সংরক্ষণের সিদ্ধান্তকে ঘিরে মণিপুরের মতো জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি যাতে উত্তপ্ত না হয়— সে জন্য মাঠে নামলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
গত বাদল অধিবেশনে জম্মু-কাশ্মীরের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে জনজাতি মর্যাদা দেওয়ার জন্য বিল আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই থেকেই ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব জম্মুর গুর্জ্জর সমাজ। এরা বিজেপির বড় ভোট ব্যাঙ্ক। গুর্জ্জর সমাজের যুক্তি, একাধিক পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা হলে সরকারি চাকরি ও শিক্ষার ক্ষেত্রে তারা বঞ্চিত হবে। ফলে গোড়া থেকেই গুর্জ্জরেরা ওই সংরক্ষণের বিরুদ্ধে।
গুর্জ্জর সমাজের সমর্থন না পেলে হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুতে ভোটের ফল যে ভাল হবে না— তা বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতারা।
মণিপুরে সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রক্ত ঝরেছে। কয়েক মাস ধরে চলা সংঘর্ষে মারা গিয়েছেন কয়েকশো মানুষ। ওই ঘটনার পুনারবৃত্তি যাতে জম্মু-কাশ্মীরে না হয়, সে জন্য আজ দলের সব স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। সূত্রের মতে, বৈঠকে গুর্জ্জর ও পাহাড়ি উভয় গোষ্ঠীর মানুষকে অমিত শাহ আশ্বাস দিয়েছেন, সংরক্ষণ এমন ভাবে করা হবে যাতে কারও সমস্যা না হয়। অমিত শাহের বাড়িতে হওয়া বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি নেতারা ছাড়াও দলের সভাপতি জেপি নড্ডা ও জম্মু-কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিন্হা উপস্থিত ছিলেন। সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও মনোজ সিন্হার সঙ্গে কথা বলেন শাহ।
চলতি বছরেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তবে লোকসভার আগে তা হবে কি না— কেন্দ্র সেই সিদ্ধান্ত নেবে। বিধানসভা ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরে এ বছরে পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন নির্ধারিত রয়েছে। আজকের বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বকে পঞ্চায়েত-পুরসভার পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন অমিত শাহ।