প্রতীকী ছবি।
মিলে যাচ্ছে ‘মোদিকেয়ার’ ও ‘দিদিকেয়ার’।
পশ্চিমবঙ্গে ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা যোজনা’— নামের বদলে ‘আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্যসাথী’ নামে এই স্বাস্থ্যপ্রকল্প চালু হতে চলেছে। প্রকল্পের নামে ‘প্রধানমন্ত্রী’ শব্দের বদলে ঢুকছে ‘স্বাস্থ্যসাথী’। কেন্দ্র-রাজ্য ৬০ ও ৪০ শতাংশ টাকা ভাগাভাগিতে চলবে এই প্রকল্প।
বাজেটে ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রীয় এই স্বাস্থ্য প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাত চলছিল। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প গ্রহণ করার ব্যাপারে বেঁকে বসেছিল পশ্চিমবঙ্গ। নবান্ন ও স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা অভিযোগের সুরে জানিয়েছিলেন, স্বাস্থ্যসাথীর অনুকরণ করে আয়ুষ্মান ভারত করা হচ্ছে। গত এপ্রিলে আয়ুষ্মান ভারতের খসড়া বিধি নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকেও পশ্চিমবঙ্গ যোগ দেয়নি।
এ বার নামবদলের সূত্র ধরেই ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে অবশেষে সম্মতি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের ‘চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার’ (সিইও) ইন্দু ভূষণ দিল্লি থেকে টেলিফোনে বলেন, ‘‘আমরা পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসাথীকেও মান্যতা দিচ্ছি। তাই পশ্চিমবঙ্গে প্রকল্পের নাম পরিবর্তিত হচ্ছে। তা ছাড়া এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের দারিদ্রসীমার নীচে থাকা প্রায় ৬ কোটি মানুষ নিখরচায় চিকিৎসা পেতে পারবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো দেশ বা গরিব মানুষের বিরুদ্ধে নন। সব বিচার করেই তাঁরা রাজি হয়েছেন। আগামী সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গ আমাদের সঙ্গে চুক্তি সই করছে।’’
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে মোদি সরকার আগামী ১৫ অগস্ট থেকে আয়ুষ্মান ভারত চালু করতে মরিয়া। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে এর বাইরে থাকুক, তা অনভিপ্রেত। সমাধানসূত্র হিসাবে মমতার স্বাস্থ্যসাথীর সঙ্গে প্রচারের আলো ভাগ করে নিয়েই রাজ্যকে রাজি করিয়েছে কেন্দ্র। অন্য দিকে, লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তৃণমূল সরকারও। রাজ্যের এক শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যকর্তা ব্যাখ্যা করেছেন, রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পভুক্তদের আয় কম হলেও তাঁরা অধিকাংশই বিপিএল তালিকাভুক্ত নন। বিপিএল তালিকাভুক্তরা মূলত ‘আরএসবিওয়াই’ (রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনা) প্রকল্পে নিখরচায় চিকিৎসা পেতেন। সেই প্রকল্প উঠে যাচ্ছে।