ঈশা অম্বানী ও আনন্দ পিরামল গাঁটছড়া বাঁধলেন। অম্বানীর আবাস অ্যান্টিলিয়ায় এই বিয়ে প্রকৃত অর্থেই ছিল চাঁদের হাট। রাজনৈতিক জগত থেকে বলিউড তারকা, দুই জগতের ব্যক্তিত্বদের ঢল নেমেছিল এই বিয়েতে। কে কে এলেন ঈশার বিয়েতে, কেমনই বা সাজলেন তাঁরা?
ঈশা ও আনন্দ পরস্পরের দিক থেকে চোখ ফেরাতেই পারছিলেন না এ দিন। দু’জনেরই পোশাকে ছিল সবুজ ও বেইজ রঙের ছোঁয়া। রোলস রয়েস গাড়িতে বরযাত্রীদের সঙ্গে এসেছিলেন আনন্দ। তার পরই প্রথামতো মালাবদল করেন তাঁরা। পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হেসেও ফেলেন।
মুকেশ ও নীতা অভ্যর্থনায় কোনও রকম ত্রুটি তো রাখেননি। বরং আর পাঁচ জন বাবা-মায়ের মতোই মেয়ের বিয়ের দিন একটানা কাজ করতেও দেখা গিয়েছে দুজনকে।
ঈশার দাদা অনন্ত, যমজ ভাই আকাশ প্রথামতো ঘোড়ার পিঠে চড়ে আনন্দকে অ্যান্টিলিয়ায় নিয়ে আসেন।
বরযাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন পেশাদার নৃত্যশিল্পীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকশিল্পীরাও এতে অংশ নিয়েছেন।
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে প্রথমেই এসেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ঈশার কাকা অনিল অম্বানী সাদরে অভ্যর্থনা জানান তাঁকে।
এসেছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা চিদম্বরমও। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
ঈশার বিয়েতে চির চেনা শাড়িতেই দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
অম্বানী কন্যার বিয়েতে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন তেলুগু দেশম প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু।
ঈশাকে শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। ফড়ণবীস এসেছিলেন ঈশার প্রি-ওয়েডিং সেরেমনিতেও।
প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন ও মার্কিন রাজনীতিবিদ হুমা আবেদিন সন্ধের দিকেই চলে এসেছিলেন অ্যান্টিলিয়ায়। দু’জনের পরনেই ছিল ভারতীয় পোশাক। এসেছিলেন জন কেরিও। বলিউড তারকাদের সঙ্গে নাচতেও দেখা যায় তাঁদের।
ঈশা অম্বানীর বিয়েতে বলি জগতের কোন তারকা উপস্থিত ছিলেন না তা বলা মুশকিল। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান এসেছিলেন স্ত্রী গৌরীর সঙ্গে। তবে প্রথমেই হাজির হন আমির খান। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী কিরণ রাও।
সদ্যবিবাহিত দীপিকা পাড়ুকোন ও রণদীপ সিংহ এসেছিলেন। দীপিকার জারদৌসি শাড়ি মন কেডে়ছে প্রত্যেকের।
ঈশা অম্বানীর বিয়ে, আর প্রিয় বন্ধু প্রিয়ঙ্কা চোপড়া আসবেন না, তা কী হয়? প্রিয়ঙ্কা এলেন জমকালো লেহেঙ্গাতে। সঙ্গে ছিলেন স্বামী নিক জোনাস।
আলিয়া ভট্টের ক্রপ টপ লেহেঙ্গা ও সনাতনী সাজ দেখে ক্যামেরার ঝলক তো থামতেই চাইছিল না। আলিয়ার ডিজাইনার ছিলেন মণীশ মলহোত্র।
রাত যত বেড়েছে, তারকার ঢল নেমেছে অ্যান্টিলিয়ায়। বনি কপূর এসেছিলেন তাঁর দুই মেয়ে জাহ্নবী ও খুশি কপূরের সঙ্গে।
সোনম কপূর এসেছিলেন বাবা অনিল কপূরের সঙ্গে। শহিদ কপূর এসেছিলেন স্ত্রী মীরা রাজপুতের সঙ্গে।
বচ্চন পরিবারের প্রত্যেকেই এসেছিলেন। শ্বেতা বচ্চন তাঁর বাবা অমিতাভ, মা জয়া ও মেয়ের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। বচ্চন পরিবারে সবার প্রথমে নজর ছিল যাঁর দিকে তিনি যদিও পরে আসেন।
বচ্চন পরিবারে সবার প্রথমে নজর ছিল যাঁর দিকে। জমকালো লাল সনাতনী শাড়িতে তিনি যে সত্যিই মোহময়ী তা আবারও প্রমাণিত হল। ঐশ্বর্যা রাই এলেন স্বামী অভিষেক ও মেয়ে আরাধ্যাকে সঙ্গে নিয়ে। ঐশ্বর্যার শাড়িটির ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়।
তিনি আসবেন না,এটা হতেই পারে না। দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার রজনীকান্ত এসেছিলেন স্ত্রী ললিতার সঙ্গে।
বলিউড তারকাদের মধ্যে আবারও পোশাকে নজর কাড়লেন রেখা। এসেছিলেন জ্যাকি শ্রফ, সুনীল শেট্টি, মাধুরী দীক্ষিতরাও।
করিনা কপূর, স্বামী সইফ আলি খান ও দিদি করিশ্মা কপূরের সঙ্গে এসেছিলেন ঈশাকে শুভেচ্ছা জানাতে। ছিলেন দিশা পাটানিও।
বিদ্যা বালান এসেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। এসেছিলেন সস্ত্রীক বিধুবিনোদ চোপড়া। ছিলেন কর্ণ জোহরও।
সচিন তেণ্ডুলকর তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি ও ছেলে অর্জুনকে নিয়ে এসেছিলেন। তিন জনেই সনাতনী পোশাকে পাপারাজ্জিদের জন্য পোজও দেন।