ঈশা অম্বানীর বিয়ের পোশাকটি ছিল চোখে পড়ার মতোই। সবুজের আভার এই লেহেঙ্গায় মন ভরে গিয়েছে অনেকেরই। কিন্তু এর কী বিশেষত্ব ছিল জানেন?
ঈশার বিয়ের পোশাক কিন্তু সব্যসাচী বা মণীশ মলহোত্রর ডিজাইনে তৈরি নয়। একেবারে অন্যরকম এক আবেগের ছোঁয়া রয়েছে এতে। অফ হোয়াইট লেহেঙ্গায় সি গ্রিন এমব্রয়ডারি ছিল ঈশার পোশাকে। আনন্দের পোশাকটিও ছিল তেমনই। তবে সঙ্গে ছিল সোনালি রঙের সাফা দোপাট্টা।
প্রিয় বন্ধু প্রিয়ঙ্কা চোপড়া কি কোনও সাজেশন দিয়েছিলেন ঈশাকে? প্রিয়ঙ্কার গাউনের ভেলের মতোই বিশাল একটি দোপাট্টা ছিল ঈশার লেহেঙ্গার সঙ্গে।
১৬ প্যানেলের এই লেহেঙ্গা ঘাগরার প্রতিটি প্যানেলেই ছিল সুতোর কাজ। মোঘল জালি, ফুলের নকশা, জারদৌসি ও নকশি কাঁথার কাজ ছিল ক্রিস্টালের সিক্যুয়েন্স।
জারদৌসির পাড়ে ছিল সিঁদুরে লাল রঙের ছোঁয়া। কিন্তু আসল বিশেষত্ব অন্য জায়গায়। সেটি হচ্ছে এই লেহেঙ্গার দোপাট্টা।
দোপাট্টাটি কার জানেন? সেটি আসলে ঈশার মায়ের বিয়ের শাড়ি থেকে তৈরি। প্রায় ৩৩ বছর আগের একটি গুজরাতি বাঁধনি শাড়িতে জারদৌসি পাড় বসিয়ে দিয়েছেন ডিজাইনাররা। কিন্তু কারা ছিলেন ঈশার এই সম্পূর্ণ আউটফিটের ডিজাইনার?
আবু জানি-সন্দীপ খোসলাই ঈশার এই সাজ সম্পূর্ণ করেছেন, যাঁরা ব্রেট লি-কেও পরিয়েছিলেন ভারতীয় পোশাক। এ বার মোঘল জালির কাজে ঈশার জন্যই বিশেষ করে গোলাপ, পদ্ম ও লিলি ফুলের নকশার কাজ করা হয়েছে। এই লেহেঙ্গা ছাড়াও অন্য একটি বিশেষত্বও রয়েছে ঈশার সাজে।
ঠিক মায়ের মতোই ঈশাও কপালে সাদা ও লাল বিন্দি দিয়ে সেজেছিলেন। প্রায় ৩৫ বছর আগে নীতা অম্বানীই বা কেমন সেজেছিলেন, আসছে সেই তুলনাও।
নীতা অম্বানী মেয়ের বিয়েতে অত্যন্ত জমকালো পোশাকে সাজলেও নিজের বিয়ের সময় কিন্তু একদম ‘নো মেক আপ লুক’-এ ছিলেন।সাদা-লাল শাড়ি পরেছিলেন আর পাঁচজন গুজরাতি কনের বেশেই। নীতা কিন্তু একেবারেই সাধারণ পরিবারেরই সন্তান।
সেই সময় অন্যতম ধনী ব্যক্তি ধীরুভাই অম্বানীর ছেলে মুকেশকে বিয়ে করলেও মাঙ্গটিকা, নথ, চোকার নেকলেস ও কয়েকটা বালা ছাড়া বিয়ের দিন আর কোনও গয়নাই পরেননি নীতা। নীতা ও মুকেশের বিয়ের ঘটনাটাও বেশ সিনেমার মতোই।
নবরাত্রির অনুষ্ঠানে নীতার ভরতনাট্যমের অনুষ্ঠান দেখে তাঁকে ছেলের জন্য পছন্দ করেই ফেলেছিলেন ধীরুভাই অম্বানী। প্রথমে ফোন পেয়ে বিশ্বাস না করলেও পরে ধীরুভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন নীতা। তিনিই আলাপ করিয়ে দেন ছেলের সঙ্গে।
মুকেশ কিন্তু ছয়-সাত দিন দেখা করার পরই নীতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মাঝ রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, নীতা তাঁকে বিয়ে করতে রাজি কি না।
নীতার মুখে ‘হ্যাঁ’ না শুনে গাড়ি চালানো আর শুরুই করবেন না, স্পষ্ট বলেছিলেন মুকেশ। মাঝ রাস্তায় মুকেশের গাড়ির পিছনে বেশ কয়েকটি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। নীতা প্রস্তাবে সাড়া দিলে তবেই গাড়ি চালানো শুরু করেন মুকেশ।