National news

১৫ হাজারে বিক্রি হয়েছিল প্রশ্ন! নজরে কোচিং সেন্টার

এখনও পর্যন্ত অবশ্য প্রশ্নফাঁসে টাকাকড়ির লেনদেনের কথা দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চ স্বীকার করেনি। কিন্তু তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিক্রি হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। এবং সেই ঘটনায় পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৮ ১১:৪৯
Share:

ছবি: পিটিআই।

সিবিএসই-র প্রশ্নফাঁসের পিছনে কি তবে কোচিং সেন্টারগুলোর হাত রয়েছে? দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও, তদন্তের গতিপ্রকৃতি কিন্তু সেই আশঙ্কাকেই জোরালো করছে। ইতিমধ্যেই রাজিন্দর নগর-সহ দিল্লির বেশ কয়েকটি এলাকার কোচিং সেন্টারে তল্লাশি চালানো হয়েছে। পুলিশ জানতে চাইছে, ফাঁস হওয়া প্রশ্ন যদি বিক্রি হয়ে থাকে, তবে সেই টাকা গিয়েছে কাদের হাতে?

Advertisement

এখনও পর্যন্ত অবশ্য প্রশ্নফাঁসে টাকাকড়ির লেনদেনের কথা দিল্লির ক্রাইম ব্রাঞ্চ স্বীকার করেনি। কিন্তু তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, ফাঁস হওয়া প্রশ্ন বিক্রি হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। এবং সেই ঘটনায় পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট।

কেমন সেই পরিকল্পনা? পুলিশ সূত্রে জানা গিযেছে, প্রশ্ন কিনতে ইচ্ছুক পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকদের নাকি দিল্লির রোহিনী কিংবা উত্তম নগরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সিবিএসই-র দশম শ্রেণির অঙ্ক ও দ্বাদশ শ্রেণির অর্থনীতির প্রশ্নের জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে নগদে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের বলা হয়, পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: চব্বিশেই সরপঞ্চ এমবিবিএসের এই ছাত্রী!

আরও পড়ুন: মেশিন খারাপ, হাজারের বেশি যাত্রীর ব্যাগ নিখোঁজ!

হয়েছিলও তাই। তদন্তে জানা দিয়েছে, প্রথম ধাপে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অঙ্কের প্রশ্ন পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল ২৪ জন পড়ুয়ার কাছে। সিবিএসই দ্বাদশের ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়েছিলেন ১০ জন পড়ুয়া। পরে তা দিল্লির বিস্তির্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ফাঁস হওয়া প্রশ্ন কমপক্ষে এক হাজার পড়ুয়ার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। কিন্তু প্রশ্ন রয়েছে এখানেও। তদন্তে যখন এতটাই জানা গিয়েছে, তখন মূল চক্রীর কাছে পৌঁছনো যাচ্ছে না কেন?

তদন্তকারীদের বক্তব্য, হোয়টসঅ্যাপে মেসেজের উপর ভিত্তি করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা অত্যন্ত জটিল। যেমন ভিকি নামে দিল্লির এক কোচিং সেন্টারে মালিক রয়েছেন সন্দেহভাজনদের তালিকায়। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে ভিকি জানায়, প্রশ্নপত্র সে ফাঁস করেনি। তবে তাঁর হোয়াটসঅ্যাপে আসা প্রশ্ন সে অন্যজনকে ফরওয়ার্ড করেছিল।

অতএব বিষয়টা যেন এখনও পর্যন্ত গোলকধাঁধার মতোই জটিল। দফায় দফায় বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement