জোড়া প্রশ্ন ফাঁসের পর থেকেই সিবিএসই চেয়ারপার্সন অনিতা করবালের ইস্তফার দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষাসচিব অনিল স্বরূপ আজ বলেন, ‘‘পুলিশের পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, গত বুধবার অঙ্ক পরীক্ষার আগে একটি ই-মেল পান অনিতা। তাতেই ছিল অঙ্কের সম্ভাব্য প্রশ্নপত্র। প্রশ্ন উঠেছে, তার পরেও কেন পরীক্ষা হল। শিক্ষাসচিবের যুক্তি, ‘‘অনিতার কাছে ওই মেলটি আসে মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ। পরীক্ষার দিনে সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে তিনি মেলটি দেখেন। দেখেই তা নজরদারি কমিটির কাছে পাঠানো হয়। তাদের রিপোর্ট আসে দশটার পরে। তত ক্ষণে পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ কে ওই মেল পাঠিয়েছিল, জানতে গুগলের দ্বারস্থ হয়েছে দিল্লি পুলিশ।
দশম শ্রেণির সোশ্যাল সায়েন্স ও দ্বাদশের জীববিদ্যার প্রশ্ন ফাঁসেরও অভিযোগ উঠেছিল। দু’তিনটি পরীক্ষার প্রশ্ন যে ফাঁস হয়েছে, তা স্বীকার করেছিলেন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরও। কেন ওই পরীক্ষাগুলি হচ্ছে না, তার জবাবে শিক্ষাসচিব বলেন, ‘‘হাতে পাওয়া নমুনার সঙ্গে মূল প্রশ্নের মিল ছিল না।’’ রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এ দিকে বলেছেন, ‘‘ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র হাতে পেলেও পড়ুয়াদের তা দেখা উচিত নয়। ’’