প্রতীকী ছবি।
অন্তত ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি না-থাকলে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা বসতে পারবে না বলে জানাল সিবিএসই। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তাই পরীক্ষায় বসতে চলা প্রত্যেক পড়ুয়ার উপস্থিতির শতকরা হার গত ১ জানুয়ারি পর্যন্ত কত ছিল, তা আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিটি স্কুলকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন সিবিএসই কর্তৃপক্ষ। উপস্থিতির হার বিচার করেই পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিবিএসই কর্তৃপক্ষের যুক্তি, ২০১৯ সালের বোর্ডের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, যারা ক্লাসে নিয়মিত নয়, যে পড়ুয়ারা প্রায়শই ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে, নিয়মিত ক্লাস করা পড়ুয়াদের থেকে তাদের ফলাফল খারাপ হয়েছে। সেই ছবিটি বদলাতেই এই নতুন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। গত অগস্ট মাসেই উপস্থিতি সংক্রান্ত এই নিয়ম নিয়ে পড়ুয়াদের আগেভাগে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। তাই স্কুলের পাঠানো হিসেব থেকে প্রত্যেক পড়ুয়ার উপস্থিতির হার বিচার করেই অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করবে সিবিএসই। এই মাসের মাঝামাঝি থেকে পর্যায়ক্রমে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া শুরু হবে।
যাদের অনুপস্থিতির হার ৭৫ শতাংশের কম, তাদের মূলত তিনটি ধারায় ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমত, ওই পড়ুয়া যদি দীর্ঘস্থায়ী বা দুরারোগ্য রোগের শিকার হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে ওই পড়ুয়াকে সংশ্লিষ্ট অসুখের বিস্তারিত বিবরণ, চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাগজপত্র, চিকিৎসকের শংসাপত্র জমা দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, যদি কোনও পড়ুয়া জাতীয় বা আন্তর্জাতিক স্তরের কোনও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে। তখন সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার অভিভাবকের চিঠি ও
স্কুলের শংসাপত্র ছাড়াও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যোগদানের তথ্য, স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার সুপারিশ পত্র জমা দিতে হবে। তৃতীয়ত, কোনও পড়ুয়ার বাবা-মায়ের মধ্যে এক জন বা উভয়ে বা পড়ুয়ার সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন কেউ যদি মারা যান, সে ক্ষেত্রে ওই পড়ুয়াকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিএসই। তবে সে ক্ষেত্রে মৃত্যুর শংসাপত্র ও অভিভাবকের চিঠি জমা দিতে পড়ুয়াকে। তবেই ছাড় পাবে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া।