কোষাগার লুঠ, তদন্ত শুরু সিবিআইয়ের

সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির নামে দফায় দফায় সরানো হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। সৃজন কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরে বিরোধীরা নীতীশ কুমার ও সুশীল মোদীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৭ ০৩:২৯
Share:

সৃজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কেলেঙ্কারির তদন্তভার গ্রহণ করে পটনায় ১০টি এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির নামে দফায় দফায় সরানো হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। সৃজন কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরে বিরোধীরা নীতীশ কুমার ও সুশীল মোদীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়। আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ পুরো ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি তোলেন। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। ১০টি এফআইআরের মধ্যে ন’টি ভাগলপুর জেলা এবং একটি সহরসা জেলার সরকারি অর্থ তছরুপের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। সিবিআই একই সঙ্গে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ভাগলপুরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক-সহ আট জনের নামেও এফআইআর দায়ের করেছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের কোষাগারের টাকা অবৈধ উপায়ে সৃজন মহিলা বিকাশ সমিতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরানো হত। সৃজন সেই টাকা খোলাবাজারে চড়া সুদে খাটাত। সরকারি প্রয়োজনে টাকা কোষাগারে ফেরানোও হত। সৃজন মহিলা বিকাশ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান মনোরমাদেবী এই চক্রের পাণ্ডা ছিলেন বলে রাজ্য সরকারের তদন্তে উঠে এসেছে। তবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি মারা যান। তারপরে সংস্থা সামলাতেন তাঁর ছেলে অমিত কুমার এবং পূত্রবধূ প্রিয়া কুমার। দু’জনেই ফেরার। তাঁদের নামে হুলিয়া জারি করেছে বিহার পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই কেলেঙ্কারিতে ধৃত এক সরকারি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় বিজেপি তাদের এক নেতাকে বহিষ্কার করেছে। একই ভাবে জেডিইউ-ও তাদের এক নেতাকে বহিষ্কার করেছে। এনডিএ জোটের অন্যতম শরিক রাষ্ট্রীয় লোকসমতা পার্টি তাদের ভাগলপুর জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement