পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির জেরে জেলে রয়েছেন তিনি। শরীর-স্বাস্থ্য ভোগাচ্ছে যথেষ্ট। পরিবারেও নানা অশান্তি ছেলেদের নিয়ে। এর মধ্যে নতুন করে মুশকিলে পড়তে চলেছেন আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদব। তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। অভিযোগ, তিনি রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে রাজস্থানে কোনও লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ ছাড়া ২৭৬ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। যাঁরা চাকরি পান, তাঁদের ১১১ জন বিহারের বাসিন্দা। উত্তর-পশ্চিম রেলে ওই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
রেলের কর্তারা জানান, প্রয়োজনে নিয়োগের অধিকার রয়েছে জেনারেল ম্যানেজারদের। কয়েকটি স্তরে এই নিয়োগ হয়। প্রথমে প্রার্থীকে শিক্ষানবিশ হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১২০ দিন প্রশিক্ষণের পরে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়। স্থায়ী করা হয় তার পরে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। উত্তর-পশ্চিম রেলের ২৭৬ জন কর্মীর নিয়োগের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে তাদের কাছে। সেই সূত্রেই তারা ওই ২৭৬ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। ওই কর্মীরা বর্তমানে যোধপুর, জয়পুর, বিকানের ও অজমের ডিভিশনে কর্মরত রয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। উত্তর-পশ্চিম রেলের পার্সোনেল অফিসার হিনা অরোড়া ওই চার ডিভিশনের ডিআরএমের কাছে চিঠি লিখে ওই কর্মীদের পোস্টিংয়ের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন। সিবিআই তদন্তের জন্যই ওই তালিকা চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কর্মীদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার পরে লালুপ্রসাদকে জেরা করা হতে পারে।
লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী ছিলেন ২০০৪-এর ২৪ মে থেকে ২০০৯-এর ২৩ মে পর্যন্ত। তাঁর জমানায় নিয়োগ হওয়া ওই ২৭৬ জনের মধ্যে রাজস্থানের ১১৬, বিহারের ১১১, উত্তরপ্রদেশের ১৬, দিল্লির ১১, হরিয়ানার ৯ ও অন্যান্য রাজ্যের ১৩ জন রয়েছেন। এঁদের ছাড়াও ২০০৭-০৮ সালে ওই জোনে আরও ১৩০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ৯৫ জন ছিলেন বিহারের বাসিন্দা। সেই নিয়োগেরও তদন্ত করতে চাইছে সিবিআই।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তিনটি মামলায় সাড়ে ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে লালুপ্রসাদের। রেলের হোটেল বিক্রির দুর্নীতির তদন্ত করে রাবড়িদেবী ও তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। এ বার রেলের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে লালুপ্রসাদকে জেরা করার প্রস্তুতি শুরু করেছে সিবিআই।