—ফাইল চিত্র।
বিজয় মাল্য আর ললিত মোদীকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করতে কত টাকা খরচ হল, সে প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি নয় সিবিআই। গোটা ব্যাপারটা পর্দার আড়ালে রাখতে চাইছে তারা।
প্রশ্নের অধিকার আইনে তদন্তকারী সংস্থার থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছিলেন ভিহার ধ্রুব নামে পুণের এক আরটিআই কর্মী। কিন্তু সিবিআই জানিয়েছে, ২০১১ সালে আরটিআই আইনের সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কিছু সংস্থাকে তথ্য প্রকাশের ব্যাপারে ছাড় দেওয়া রয়েছে। সেই সূত্রেই তথ্যের অধিকার আইনের ২৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী তারা এ ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য নয়।
কিংফিশার কর্তা বিজয় মাল্য দেশের ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ। ২০১৬ সালের মার্চেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে তিনি ঘাঁটি গেড়েছেন ব্রিটেনে। ভারতে ফিরতে তিনি রাজি নন বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক মাল্যের প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানায় ব্রিটেনকে। মামলাও চলছে সে দেশের আদালতেও। এই পরিস্থিতিতে তাকে দেশে ফেরাতে চাপ রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের। আর প্রাক্তন আইপিএল কর্তা ললিত মোদীও রয়েছেন ব্রিটেনে। তার বিরুদ্দে প্রায় ৪৭০ কোটি টাকা আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে চেন্নাই পুলিশ। তাকে সে দেশ থেকে ফেরাতে চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি।
আরও পড়ুন: নীরব মামলায় ধৃত মুকেশের খুড়তুতো ভাই
মাল্য কিংবা ললিত দু’জনেই যখন অধরা, তখনই নীরব কেলেঙ্কারি নিয়ে উত্তাল দেশ। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই মাল্যদের ফেরানোর খরচ নিয়ে মুখ বন্ধ করল।