দিনভর তল্লাশি সিবিআইয়ের। —ফাইল চিত্র।
সোমবার থেকে দিল্লির তিসহাজারি আদালতে উন্নাও গণধর্ষণ সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি শুরু হচ্ছে। তার মধ্যেই জোরকদমে ‘দুর্ঘটনা’ কাণ্ডের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। রবিবার দিন ভর উত্তরপ্রদেশের ১৭টি জায়গায় তল্লাশি চালাল তারা। তল্লাশি চালানো হয়েছে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত কুলদীপ সিংহ সেঙ্গারের বিরুদ্ধেও। জেলে বসে ষড়যন্ত্র কষে তিনিই ‘দুর্ঘটনা’ ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের।
এ দিন সিবিআইয়ের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘‘লখনউ, উন্নাও, বান্দা এবং ফতেপুর— উত্তরপ্রদেশের এই চার জেলা এবং অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চলছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ উন্নাও গণধর্ষণ মামলায় কুলদীপ সেঙ্গার, তাঁর ভাই এবং তাঁদের বেশ কয়েক জন সহযোগীকে গতবছর গ্রেফতার করা হয়। তাদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে।
গত এক বছর ধরে সীতাপুর জেলে বন্দি রয়েছেন কুলদীপ সেঙ্গার। শনিবার সেখানেও হাজির হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি দল। এত দিনে জেলে গিয়ে কে বা কারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছে, তার রেকর্ড খতিয়ে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: কিছু মানুষ ও সংগঠনের উদ্দাম আচরণে উদ্বিগ্ন দেশ, মত প্রধান বিচারপতির
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মুখরক্ষার চেষ্টা! ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ইমরানের
চাকরি চাইতে গেলে ২০১৭ সালে কুলদীপ সেঙ্গার তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের। গত বছর বিষয়টি সামনে আসে। তা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে কুলদীপ সেঙ্গার, তাঁর ভাই এবং আরও বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই মামলা চলাকালীনই গত রবিবার রায়বরেলী যাওয়ার পথে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নির্যাতিতার পরিবারের দুই মহিলা সদস্যের, যাঁদের মধ্যে এক জন আবার ধর্ষণ মামলায় প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন। গুরুতর জখম অবস্থায় এই মুহূর্তে লখনউ হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতা এবং তাঁদের পারিবারিক আইনজীবী। মামলা তুলে না নেওয়ায়, জেলে বসে কুলদীপ সেঙ্গার তাদের লাগাতার হুমকি দিচ্ছিলেন এবং তাতে কাজ না হওয়ায় তিনিই এই ‘দুর্ঘটনা’ ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবার। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে সিবিআই।