পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)-এর কোটি কোটি টাকা তছরুপের মামলায় নীরব মোদীর মতোই অভিযুক্ত তাঁর ভাই নেহাল মোদী (বাঁ-দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
নীরব মোদীর পর এ বার তাঁর ভাই নেহাল মোদীকেও ভারতে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। শুক্রবার মুম্বইয়ের একটি বিশেষ আদালতে এই মর্মে ভারত সরকারের তরফে হলফনামা পেশ করেছেন সংস্থার তদন্তকারীরা।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি)-এর কোটি কোটি টাকা তছরুপের মামলায় নীরবের মতোই অভিযুক্ত নেহাল। সম্প্রতি আমেরিকার আদালতে একটি প্রতারণা মামলায় নেহালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাঁর সে দেশে বসবাসের কথা জানতে পারে সিবিআই। তার পরেই আমেরিকা থেকে নেহালকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে উদ্যোগী হয় ওই তদন্তকারী সংস্থা।
সিবিআইয়ের মতো বেলজিয়ামের নাগরিক নেহালকে খুঁজছে ইন্টারপোলও। ২০১৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করে তারা। তবে তা সত্ত্বেও তাঁকে ধরা যায়নি।
২০১৮ সালে পিএনবি মামলার তদন্তে নেমে ইডি এবং সিবিআইয়ের নজরে নীরবের পাশাপাশি উঠে আসেন নেহাল। তাঁর বিরুদ্ধে ওই মামলায় প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করেছে ওই দুই তদন্তকারী সংস্থা। ২০১৯ সালে একটি অতিরিক্ত চার্জশিটে সিবিআইয়ের আরও দাবি, একজন ভুয়ো ডিরেক্টরকে ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে ইউরোপে পাঠিয়েছিলেন নেহাল। যাতে বিদেশের আদালতে নীরবের পক্ষে বয়ান দেন তিনি। তদন্তকারীদের অভিযোগ, নীরবের সংস্থার একাধিক কর্মী এবং ভুয়ো ডিরেক্টরদের দুবাই থেকে কায়রোয় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনেও রয়েছেন নেহাল। তাঁদের সেখান থেকে ভারতে আসা বন্ধ করার ব্যাপারেও নেহালের হাত রয়েছে বলে মত তদন্তকারীদের। যাতে পিএনবি-কাণ্ডে তদন্তে তাঁদের যোগ দেওয়া আটকানো যায়। এ ছাড়া, পিএনবি-কাণ্ডের বিভিন্ন নথিপত্র সরানোর অভিযোগও রয়েছে নেহালের বিরুদ্ধে। ইডি-র দাবি, পিএনবি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত যাবতীয় অ্যাকাউন্ট-সহ রেকর্ড নষ্ট করার বিষয়টি নীরবের ব্যক্তিগত তদারকিতেই সারা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই আমেরিকার একটি আদালত নীরবকে এ দেশে প্রত্যর্পণ নিয়ে নির্দেশ জারি করেছে। নীরব ছাড়াও তাঁর বোন পূরবী মোদী এবং পূরবীর স্বামী মৈনাক মেহতাও পিএনবি-কাণ্ডে জড়িত বলে ইডি-র দাবি। তবে নীরবের বিরুদ্ধে শুনানিতে তাঁদেরকে সাক্ষী হিসাবে আদালতে পেশ করতে চায় ইডি। আদালতে সেই আবেদন গ্রাহ্য হলেও পূরবী বা মৈনাক, কেউই এখনও মুম্বইয়ে ফিরে আসেননি।