প্রায় এক বছর আগে কেরলের পলক্কড় স্টেশন থেকে ৫৮৯টি শিশুকে উদ্ধার করেছিল আরপিএফ বা রেল সুরক্ষা বাহিনী। তার মধ্যে ১২৩টি শিশু পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। সন্দেহ করা হচ্ছিল, কেরলের একটি প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর ছুতোয় শিশুগুলিকে পাচার করে দেওয়া হত। বুধবার সেই ঘটনায় তদন্ত শুরু করল সিবিআই। পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল কেরল হাইকোর্ট।
কেরল পুলিশের খবর, ২০১৪-র ২৪ মে পটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস থেকে বিহার-ঝাড়খণ্ডের ৪৬৬টি শিশুকে উদ্ধার করা হয়। ২৫ মে গুয়াহাটি-তিরুঅনন্তপুরম এক্সপ্রেসে পাওয়া যায় মালদহের কিছু শিশুকে। ওই শিশুগুলিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এ দিন সিবিআইয়ের মুখপাত্র কাঞ্চন প্রসাদ জানান, দু’টি আলাদা মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে।
শিশুগুলিকে তাদের পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে তদন্তে নামে কেরলের পুলিশ ও সমাজকল্যাণ দফতর। মালদহেও এসেছিল তারা। সেই তদন্তে উঠে আসে, কেরলে কোঝিকোড়ের ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের বিনামূল্যে খাবার-পোশাক-শিক্ষা দেওয়া হত। কিন্তু শিক্ষা শেষ করার পরে শিশুগুলি কী করত, সেই ব্যাপারে কোনও তথ্য পাননি কেরলের গোয়েন্দারা। ওই প্রতিষ্ঠানে কারা টাকা দেন, সেই তথ্যও জানতে পারেননি তাঁরা। এ ব্যাপারে সবিস্তার তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল কেরলের শিশু সুরক্ষা কমিশন।
এ রাজ্যের সমাজকল্যাণ দফতরের কর্তারা বলছেন, শিশু পাচার উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ রাজ্যে পড়তে পাঠানোটা তারই একটা ছুতো। দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘কারা শিশুদের ভিন্ রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছে, সেটা সিবিআই তদন্তে উঠে আসা উচিত।’’