কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে তদন্তকারী দলের অভিযান। —ফাইল চিত্র।
দুই-ই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই ও ইডি। বাংলার রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দুই সংস্থাই বর্তমানে যথেষ্ট চর্চিত। রাজ্যে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতার করেছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এ বার এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হলেন অপর তদন্তকারী সংস্থার পদস্থ কর্তা। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ইডির এক আধিকারিক। তা-ও আবার যে সে আধিকারিক নন, গ্রেফতার হয়েছেন ই়ডির সহকারী ডিরেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক। বৃহস্পতিবারই দিল্লি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ইডির ওই ধৃত সহকারী ডিরেক্টরের নাম সন্দীপ সিংহ যাদব।
তদন্তকারী সংস্থার এক সূত্রের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এএনআই জানিয়েছে, দিল্লির এক গহনা ব্যবসায়ীর ছেলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ওই মামলায় ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন ব্যবসায়ী। এই পরিস্থিতিতেই ছেলেকে মামলা থেকে বাঁচিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবসায়ীর থেকে মোটা টাকার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ওই ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে। তিনি মোট ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে অপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই দিল্লির লাজপত নগরে জাল বিছিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা। লাজপত নগরের গোপন অভিযানেই ঘুষ নেওয়ার সময় ওই ইডি আধিকারিক হাতেনাতে ধরা পড়ে যান বলে সূত্রের দাবি।
এমন ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। এর আগে দিল্লির আবগারি দুর্নীত মামলাতেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ইডির সহকারী ডিরেক্টর পদমর্যাদার এক আধিকারিক-সহ মোট সাত জন অফিসার। দিল্লির এক ব্যবসায়ীর থেকে পাঁচ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।