প্রতীকী ছবি।
বছর ছয়েক আগে বিনিয়োগকারীদের ২৩ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল অসমের একটি বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে। এ বার ওই সংস্থার চার শীর্ষকর্তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটির দাবি, বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করতেই ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন অভিযুক্তেরা।
শুক্রবার অসমের জীবন সুরক্ষা গ্রুপ অব কোম্পানিজ নামে এক বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর চন্দন দাসের বিরুদ্ধে অসমের এক আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। চন্দন ছাড়া ওই চার্জশিটে আরজু আচার্য, অশোক চক্রবর্তী এবং উত্তম আচার্য নামে সংস্থার তিন প্রাক্তন ডিরেক্টরের নাম রয়েছে।
প্রসঙ্গত, অসম সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে জীবন সুরক্ষা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্তে নামে সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি, অভিযুক্তেরা নিজেদের মধ্যে ষড়যন্ত্র করে আর্থিক দুর্নীতির উদ্দেশ্যেই ওই সংস্থা খোলেন। অসমের বরপেটা জেলার বহু বাসিন্দাই এই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন বলেও দাবি। অভিযুক্তেরা হোটেলে ঘর ‘বুক’ করার নামে অর্থের বিনিময়ে বিনিয়োগকারীদের জন্য শংসাপত্র জারি করতেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে গোটা প্রক্রিয়াটি সেবি এবং কোম্পানি আইনের তোয়াক্কা না করেই চলত বলেও দাবি করেছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের আরও দাবি, এখনও পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ২৩,৮৭,৭৬,১৪০ টাকা গায়েব করে দিয়েছেন অভিযুক্তরা। বছর চারেক আগে এই মামলায় প্রথম চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। সে সময় এই চার অভিযুক্ত ছাড়াও এই গোষ্ঠীর চারটি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছিল তারা।