মোহিত কাম্বোজ।—ছবি সংগৃহীত।
বিজেপি নেতা মোহিত কাম্বোজ তথা মোহিত ভারতীয়ের নামে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলা করল সিবিআই। মোহিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে ৬৭ কোটি টাকা ফাঁকি দিয়েছেন। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির মুম্বই শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহিত জানিয়েছে, তিনি দু’বছর আগেই ৩০ কোটি টাকা দিয়ে ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিটমাট করে নিয়েছেন।
২০১৩ সালে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে ৬০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল ‘অভিযান ওভারসিজ় প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা। সেই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা গ্যারান্টার ছিলেন মোহিত কাম্বোজ। পরে পদবি পাল্টে ‘ভারতীয়’ হয়ে যান। সুদ-সহ বকেয়া কোনও টাকা না-পেয়ে ২০১৫ সালে সংস্থাটিকে ‘ঋণখেলাপি’ ঘোষণা করে করে ব্যাঙ্ক।
সিবিআইয়ের কাছে করা অভিযোগে ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০১৪ থেকে কোনও রকম হিসেব দাখিল করেনি মোহিতের সংস্থা। সেটিকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করার পরেই পদত্যাগ করেন সংস্থার সব ডিরেক্টর। তাঁদের মধ্যে মোহিত ছাড়া ছিলেন আরও তিন জন— জীতেন্দ্র কপূর, অভিষেক কপূর ও নরেশ কপূর। সিবিআইয়ের কাছে দায়ের করা অভিযোগে ব্যাঙ্ক বলেছে, ‘‘এই সংস্থা ও তার ডিরেক্টরেরা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে এবং ব্যাঙ্ককে লোকসানের মুখে ঠেলে দিয়ে গুরুতর অপরাধ করেছেন।’’ ব্যাঙ্কের অভিযোগ অনুযায়ী মোহিত-সহ চার জনের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা করেছে সিবিআই। এই জালিয়াতিতে ব্যাঙ্কের কিছু কর্মীর ভূমিকাও তদন্ত করে দেখছে তারা।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে মোহিত জানান, ২০১৮ সালে ৩০ কোটি টাকা দিয়ে ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিটমাট করে নিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁর কথায়, ‘‘আড়াই বছর পরে কেন ব্যাঙ্ক নতুন করে অভিযোগ দায়ের করল, বুঝতে পারছি না। তদন্তে সিবিআইকে পূর্ণ সহযোগিতা করব।’’