Arvind Kejriwal

ইডির পর এ বার সিবিআই, আবগারি মামলায় দিল্লির আদালত থেকেই গ্রেফতার হলেন কেজরীওয়াল

দিল্লি হাই কোর্ট অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জামিন খারিজের পরেই তিহাড়ে গিয়ে তাঁকে জেরা করেছিল সিবিআই। এই আবহে কেজরীকে ফের গ্রেফতার করা হতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিলই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪ ১১:২৪
Share:

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।

দিল্লির আবগারি মামলায় এ বার অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করল সিবিআই। দিল্লির আদালত থেকেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে এই একই মামলায় গ্রেফতার করেছিল ইডি।

Advertisement

মঙ্গলবার দিল্লি হাই কোর্ট কেজরীওয়ালের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পরেই তিহাড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআইয়ের একটি দল। তাঁর বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়। বুধবার তাঁকে আদালতে হাজির করানোর অনুমতিও পেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।

সেই মতো বুধবার দিল্লির ট্রায়াল কোর্টে আম আদমি পার্টির (আপ) আহ্বায়ক কেজরীওয়ালকে হাজির করেন তিহাড় কর্তৃপক্ষ। দুই পক্ষই নিজেদের বক্তব্য রাখেন বিশেষ বিচারক অমিতাভ রাওয়াতের সামনে। সেখানেই সিবিআই কেজরীকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‘আবগারি মামলার তদন্তের অগ্রগতির জন্য কেজরীওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তাই তাঁকে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিতে চায়।’’ যদিও কেজরীর তরফে দাবি করা হয়, তাঁকে কোনও নোটিস ছাড়াই জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি, সিবিআইয়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার পর কয়েক দফা ইডি হেফাজত শেষে কেজরীওয়ালকে তিহাড় জেলে পাঠান বিচারক। তার পর থেকেই তিহাড়েই ছিলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে। তবে শুক্রবার সকালে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ইডির আবেদনে সাড়া দিয়ে কেজরীওয়ালের জামিন স্থগিত রাখে দিল্লি হাই কোর্ট।

শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে ইডির মামলা শোনে হাই কোর্ট। তবে শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছিল। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল দিল্লি হাই কোর্টে। শুনানিতে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। তার পরই সুপ্রিম কোর্টে যান কেজরী। নিম্ন আদালত যখন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল, তখন শীর্ষ আদালতে কেজরীর মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতেই দিল্লি হাই কোর্টের মঙ্গলবারের নির্দেশের কথা উল্লেখ করা হয় বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার অবকাশকালীন বেঞ্চের সামনে। তার পরই শীর্ষ আদালত কেজরীওয়ালকে তাঁর পুরনো আবেদন তুলে নিয়ে নতুন করে আবেদন করার অনুমতি দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement