ফাইল চিত্র।
ইদের আগে কেরলে তিন দিন কোভিড বিধি শিথিল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন পেশ হল সুপ্রিম কোর্টে। পাশাপাশি কেউ কাঁওয়াড় যাত্রা বার করার চেষ্টা করলে উত্তরপ্রদেশকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।
ইদের প্রেক্ষিতে ১৮-২০ জুলাই কেরলে কোভিড বিধি কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। ১৭ জুলাই তিনি ঘোষণা করেন, ১৮-২০ জুলাই কিছু এলাকায় জামাকাপড়, জুতো, অলঙ্কার, বাড়িতে ব্যবহার্য সামগ্রীর মতো পণ্যের দোকান খোলা থাকবে।
আজ সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা আর্জিতে আবেদনকারী পি কে ডি নাম্বিয়ার জানান, ‘‘একটি চিকিৎসা সঙ্কটের সময়ে সরকার নাগরিকদের জীবন নিয়ে খেলছে। এটা দুঃখজনক। কেরল সরকার এই সঙ্কটের সময়ে নিরপরাধ নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও প্রাণ বলি দিতে রাজি।’’ উত্তরপ্রদেশে কাঁওয়াড় যাত্রা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুরু করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলার অধীনেই এই আবেদন পেশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এ দিনই কেরল সরকারকে অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের বেঞ্চ। আগামিকাল ওই মামলার শুনানি হবে।
অন্য দিকে এ দিন কাঁওয়াড় যাত্রা সংক্রান্ত মামলা বন্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়, কাঁওয়াড় যাত্রা বন্ধ রাখা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই মামলা বন্ধ করে বিচারপতি নরিম্যানের বেঞ্চ। তবে তার আগে বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, কেউ কোভিড বিধি ভাঙলে বা কাঁওয়াড় যাত্রা বার করার চেষ্টা করলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।
এ দিন অন্য একটি যাত্রা সংক্রান্ত আবেদনও খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। মহারাষ্ট্রের পানঢারপুরের মন্দিরে পদযাত্রা করে যান ওয়ারকারি সম্প্রদায়ের সদস্যেরা। থাকে পাল্কিও। এ বার সেই যাত্রায় কেবলমাত্র ১০টি পাল্কিকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। ফলে ওয়ারকারি সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে আবেদন পেশ হয় সুপ্রিম কোর্টে। যাত্রার জন্য নথিবদ্ধ ২৫০টি পাল্কিকেই যেতে দেওয়ার আবেদন করে পানঢারপুর ওয়ারি সংগঠন। প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করেছে।