নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর বাড়িতে ঢুকল গাড়ি। —ফাইল চিত্র
সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর এসপিজি (স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ) নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই। তার কিছু দিনের মধ্যেই ঘটল বিপত্তি। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর অফিস সূত্রে খবর, গত ২৫ নভেম্বর দিল্লির হাই সিকিউরিটি জোন লোদী এস্টেটে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে একটি সন্দেহজনক গাড়ি।
গাঁধী পরিবারের সদস্যদের এসপিজি নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল গত ৪ নভেম্বর। তাঁদের নিরাপত্তা নামিয়ে আনা হয় জেড প্লাস ক্যাটেগরিতে। তার তিন সপ্তাহের মাথায় গত ২৫ নভেম্বর ঘটে ওই ঘটনা। প্রিয়ঙ্কার অফিস সূত্রের খবর, গেট পেরিয়ে তাঁর বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে একটি গাড়ি। গাড়িটি বাড়ির বারান্দা পর্যন্ত এগিয়ে যায়। সে সময় বাগানেই বসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। গাড়িতে ছিলেন চার পুরুষ এবং এক তরুণী-সহ পাঁচ জন। তাঁরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে হেঁটে হেঁটেই প্রিয়ঙ্কার কাছাকাছি চলে যান। তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার জন্য অনুরোধও করেন। সাক্ষাৎপ্রার্থীরা এ-ও জানান, প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ছবি তোলার জন্যই তাঁরা এমন ‘ঝুঁকি’নিয়েছেন।
প্রিয়ঙ্কার অফিস সূত্রে খবর, সে দিন কারও সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা ছিল না। ফলে, গোটা ঘটনায় হকচকিয়ে যান তিনি। কী করে ওই পাঁচ জন গাড়িতে চড়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়লেন তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর নিরাপত্তায় নিযুক্ত সিআরপিএফ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদও করেন সনিয়া-কন্যা। তড়িঘড়ি সতর্ক হয়ে যান নিরাপত্তাকর্মীরা। তাঁরা‘সাক্ষাৎপ্রার্থী’দের ঘিরে ধরেন।
আরও পড়ুন: ‘নির্মলা’ নন, ‘নির্বলা’ সীতারামন, এ বার অধীরের কটাক্ষ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে
কংগ্রেসের অভিযোগ, গেট দিয়ে ঢোকার সময় গাড়িটিকে পরীক্ষা করা হয়নি। নিরাপত্তারক্ষীদের অসতর্কতার সুয়োগ নিয়েই পাঁচ জনকে নিয়ে প্রিয়ঙ্কার বাড়ির চৌহদ্দিতে ঢুকে পড়ে ওই গাড়িটি। তাঁর অফিসের এক প্রবীণ কর্মীর কথায়, ‘‘হ্যাঁ, এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে খারাপ কিছু ঘটেনি। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী সাক্ষাৎপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের আবদার মেনে ছবিও তোলেন। এর পর ফিরে যান তাঁরা।’ বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিসানের নজরেও আনা হয়েছে। তবে এ নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘গুজরাতিরা অনুপ্রবেশকারী হলে ইতালীয়রা কী?’ অধীরের পাল্টা বিজেপির
এসপিজি সরিয়ে নেওয়ার পর প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় সিআরপিএফের হাতে। তাঁর জেড প্লাস ক্যাটেগরি নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য রয়েছেন ১০০ জন রক্ষী।