ফাইল চিত্র।
পঞ্জাব কংগ্রেসের নবনিযুক্ত সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধু আনুষ্ঠানিক ভাবে দলের দায়িত্ব হাতে নেবেন আগামিকাল, শুক্রবার। তার আগের দিন অবধি মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ঘোচেনি এতটুকুও। মুখ্যমন্ত্রী শিবিরের দাবি, অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য সিধুকে প্রকাশ্যে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্য দিকে ক্ষমা না চাওয়ার অবস্থানেই অনড় সিধু আজ শুধু এক পা এগিয়ে এক চিঠিতে ‘পঞ্জাবে কংগ্রেস পরিবারের প্রবীণতম নেতাকে’ দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসতে এবং নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সদস্যদের আশীর্বাদ করতে চিঠি পাঠিয়েছেন।
ব্যাস! ওই টুকুই। পিছু হটবার পাত্র নন পঞ্জাবে কংগ্রেসের কান্ডারিও। আগামিকাল নিজের শক্তি দেখাতে পঞ্জাব ভবনে দলের সব বিধায়ক, সাংসদ এবং প্রবীণ নেতাকে চায়ের পার্টিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা রবীন ঠুকরাল জানিয়েছেন, সেখানের অনুষ্ঠান সেরে দল বেঁধে সিধুর দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন সকলে। সিধুর সঙ্গে যাঁরা দায়িত্ব নেবেন, তাঁদের অনেকের সঙ্গেই ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন ক্যাপ্টেন। সেই ছবি মহাসমারোহে প্রকাশও করা হয়েছে। যদিও সেই দলে সিধু ছিলেন না। সেই অর্থে অগামিকালের অনুষ্ঠানে যুযুধান দুই নেতার প্রথম দেখা হবে।
কিন্তু তাতে বরফ গলবে কি? আপাতত এই প্রশ্নটাই তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে কংগ্রেস রাজ্য নেতৃত্বকে। ক্যাপ্টেন বনাম সিধু দ্বন্দ্বে দীর্ণ কংগ্রেস কি আসন্ন বিধানসভা ভোটে রাজ্যের দখল হাতে রাখতে পারবে? হাতে গোটা যে ক’টি রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় আছে, তার মধ্যে পঞ্জাব অন্যতম। এত দিন সেখানে ক্যাপ্টেনই সর্বেসর্বা ছিলেন। কিন্তু সিধুর কোনও দিনই ক্যাপ্টেনের সঙ্গে বনিবনা হয়নি। এ বারে দলের রাজ্য সভাপতি হিসেবে টিকিট বণ্টনের দায়িত্ব অনেকটাই তাঁর হাতে থাকবে। এই অবস্থায় দুই শিবিরের ভাগাভাগিতে দ্বিধায় কংগ্রেস কর্মীরা। এমনিতে পঞ্জাবে কংগ্রেসের অবস্থা খুব খারাপ নয়। কৃষক আন্দোলনের জেরে দিশেহারা বিজেপি সে রাজ্যে অনেকটাই নড়বড়ে। বিজেপি-সঙ্গ ছেড়ে আসা অকালির অবস্থাও তথৈবচ। কিন্তু সিধু-ক্যাপ্টেন দড়ি টানাটানিতে বিরক্ত সাধারণ ভোটাররা। বিধানসভা ভোটে তাঁরা কী করেন, সে দিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক শিবির।