প্রতীকী ছবি।
আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে সদ্যই ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের আমদানি ধাপে ধাপে বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। একই লক্ষ্যে মন্ত্রকের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ পরিষদ (ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল তথা ডিএসি) আরও একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল। ডিএসির বৈঠকে আজ ৮৭২২.৩৮ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার একটা বড় অংশই তৈরি করবে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানাচ্ছে, বায়ুসেনাকে ১০৬টি এইচটিটি-৪০ প্রশিক্ষণ-বিমান (বেসিক ট্রেনার এয়ারক্রাফট) জোগাবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড তথা হ্যাল। সংস্থাটি ইতিমধ্যেই তার নমুনা সংস্করণ তৈরি করে ফেলেছে। সেটিকে ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ছাড়পত্র মিললে প্রথমে নেওয়া হবে ৭০টি। বায়ুসেনা পৃথক এইচটিটি-৪০ বহর তৈরি করার পরে বাকিগুলি নেওয়া হবে।
নৌবাহিনী ও উপকূল রক্ষী বাহিনীর কাছে সুপার র্যাপিড গান মাউন্ট (এসআরজিএম) খুবই শক্তিশালী একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা। যে কোনও জলযানে বসানো যায় এই কামান। দ্রুত নিখুঁত লক্ষে আঘাত হানার এবং ক্ষেপণাস্ত্র বা যান ধ্বংস করার ক্ষমতাও মোক্ষম। ভারতীয় বাহিনীর জন্য এরই উন্নততর সংস্করণ তৈরি করবে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (ভেল)।
আধুনিক সাঁজোয়া গাড়ির শক্ত দেওয়াল ভেদ করতে পারে আর্মর পিয়ার্সিং ফিন স্টেবিলাইজ়ড ডিসকার্ডিং সাবো (এপিএফএসডিএস)। স্থলযুদ্ধে ট্যাঙ্কের কামানে ব্যবহার হয় এই ধরনের গোলা। ডিএসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশেই এর ডিজ়াইন তৈরি করা হবে। তৈরি করা হবে এর উন্নততর সংস্করণ। এবং তার ৭০ শতাংশ উপাদানই হবে দেশীয়।
একে-২০৩ এখন বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেলগুলির অন্যতম। ডিএসি-র এ দিনের সিদ্ধান্তে সামরিক বাহিনীগুলির হাতে এই রাইফেল এবং আরও উন্নত চালকহীন বিমান তুলে দেওয়ার বিষয়গুলিও তরান্বিত হবে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।