ফাইল চিত্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারের ব্যপারে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আজ প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের কিছু করার নেই। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর নির্দেশ দিতে পারি?’’ ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার যে সব প্রশ্ন উঠেছে তারও জবাব দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
রাশিয়ার সামরিক অভিযানের ফলে ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন বহু পড়ুয়া এবং ভারতীয় নাগরিক। তবে তাঁদের মধ্যে অনেককেই দেশে ফেরানো হয়েছে। বহু পড়ুয়া এখনও ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আটকে রয়েছেন। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী আজ আদালতে অভিযোগ করেন, আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের ইউক্রেন সীমান্ত পার হয়ে রোমানিয়াতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট কী করবে? আমি কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যুদ্ধ থামানোর নির্দেশ দিতে পারি?’’
মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, ‘‘আটকে পড়া পড়ুয়ারা প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের দেখভালের ব্যবস্থা করা দরকার।’’ এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ‘‘কে তাঁদের দেখভাল করবে? সরকার তার কাজ করছে। আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলকে শুধু বলতে পারি, তাঁদের কী ভাবে উদ্ধারের কাজ হচ্ছে সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে।’’
আটকে পড়া পড়ুয়াদের নিয়ে উদ্বিগ্ন নেট নাগরিকদের একটা বড় অংশ। সোশ্যাল মিডিয়াতে চলতে লেখালেখিও। প্রধান বিচারপতি আজ বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিয়োয় দেখলাম বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি কী করছেন? এঁদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি রয়েছে।’’
অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপালকে শীর্ষ আদালত বলেছে, সরকারের সঙ্গে কথা বলে আটকে পড়া পড়ুয়াদের ব্যাপারে যেন যথাসম্ভব পদক্ষেপ করা হয়।
ইউক্রেনে আটকে পড়া পড়ুয়া এবং ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধারে লাগোয়া দেশগুলিতে কয়েকজন মন্ত্রীকে পাঠিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। ‘অপারেশন গঙ্গা’ শুরু করেছে কেন্দ্র। বিমানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানিয়েছেন, আজ ১৯টি বিমানে মোটে ৩৭২৬ জন ইউক্রেন থেকে ভারতে ফিরছেন। এর মধ্যে আটটি বিমান আসছে রোমানিয়ার বুখারেস্ট, দু’টি আসছে রোমানিয়ার সুচিয়াভা থেকে, একটি আসছে স্লোভাকিয়ার কোসিকে থেকে। হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট থেকে আসছে পাঁচটি এবং পোল্যান্ডের রেজেজ়ো থেকে আসার কথা তিনটি বিমান।