ছেলে ধ্রুব জয়শঙ্কর (বাঁ দিকে) ও এস জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র
সুষমা স্বরাজের চেয়ারে বসলেন এস জয়শঙ্কর। শুক্রবারই বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বভারও বুঝে নিয়েছেন প্রাক্তন এই আমলা। কিন্তু তার মধ্যেই জয়শঙ্করের ছেলে ধ্রুবর টুইট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার শপথ নেওয়ার দিনই ধ্রুব টুইটারে লেখেন, ‘‘পাসপোর্ট-ভিসা সমস্যার সমাধান করতে পারব না।’’এই টুইট ঘিরেই শুরু হয় নানা জল্পনা।
বৃহস্পতিবার পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এস জয়শঙ্কর। তাঁর শপথ এবং সুষমা স্বরাজের অনুপস্থিতিতে ধরেই নেওয়া হয় তিনি বিদেশমন্ত্রী হচ্ছেন। বিভিন্ন সূত্রে খবর, তার পর থেকেই জয়শঙ্করের ছেলে ধ্রুবর কাছে প্রচুর মেসেজ আসতে থাকে। কেউ পাসপোর্ট, কেউ বা ভিসার সমস্যা সমাধানের আর্জি নিয়ে তাঁকে মেসেজ করেন।
এই ঘটনার পরেই ধ্রুব প্রথমে টুইট করেন, ‘‘ডুড, দিস ইজ রং টুইট।’’ কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় কার্যত কড়া ভাষায় আরও একটি টুইট করেন তিনি। লেখেন, ‘‘আরও কেউ আবদার করার আগে জানিয়ে রাখি, আমি কোনও ভাবেই পাসপোর্ট, ভিসা বা বিদেশে জেলে থাকার সমস্যার সমাধান করতে পারব না। আমার নিজেরই এই ধরনের অনেক সমস্যা রয়েছে (বিদেশে জেলে থাকা ছাড়া)। এবং এটা আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই।’’
আরও পড়ুন: মোদীর সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত, প্রতিরক্ষায় রাজনাথ, অর্থে নির্মলা, দেখে নিন কে কী মন্ত্রী হলেন
আরও পডু়ন: ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে দল থেকে ইস্তফা তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া কর্তা সুপর্ণ মৈত্রর
প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। বিদেশে কেউ সমস্যা পড়লে তাঁকে টুইট করে সাহায্যের আর্জি জানালে তিনি প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতেন। নিজেও প্রায় সব বিষয় টুইটারে পোস্ট করতেন। সুষমা নিজে এই বিষয়টিকে বলতেন, ‘প্রযুক্তিগত কূটনীতি’। কিন্তু ধ্রুব ওই টুইট করার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, তবে কি সুষমার এই সোশ্যাল মিডিয়ার উপস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করতে চাইলেন ধ্রুব। পর্যবেক্ষদের একটি অংশ অবশ্য সেই মতামত উড়িয়ে মনে করেন, এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত সমস্যা থেকেই ধ্রুব ওই টুইট করেছেন।