(বাঁ দিকে) কে চন্দ্রশেখর রাও। রাহুল গান্ধী (ডান দিকে)।
যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলির তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় তেলঙ্গানায় বিধানসভা ভোটের প্রচারপর্ব শেষ হল। আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দক্ষিণ ভারতের ওই রাজ্যের ১১৯টি বিধানসভা আসনের সব ক’টিতেই ভোট হবে। গণনা আগামী ৩ ডিসেম্বর। ইতিমধ্যেই ভোটগ্রহণ সাঙ্গ হওয়া চার রাজ্য— মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান এবং মিজ়োরামের সঙ্গে।
প্রচারের শেষ দিনে মঙ্গলবার কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী একটি ভিডিয়ো-বার্তায় তেলঙ্গানার ভোটারদের ‘হাত’ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কাও দিনভর ব্যস্ত ছিলেন ভোটের প্রচারে। হায়দরাবাদের সভায় রাহুল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কেসিআরের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। এ বার উনি হারবেন। আমরা জিতব। এর পরে দিল্লিতে হারবেন (লোকসভা ভোটে) নরেন্দ্র মোদী।’’ প্রিয়ঙ্কা অভিযোগ করেন, কংগ্রেসকে হারাতে গোপনে হাত মিলিয়েছে বিআরএস, বিজেপি এবং মিম।
অন্য দিকে, শেষ দিনের নির্বাচনী প্রচারে কেসিআরের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘‘আমি কখনও পদের পিছনে ছুটি না। তেলঙ্গানার মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’’ প্রধানমন্ত্রী মোদী সোমবার তেলঙ্গানায় বিজেপির দু’টি সভায় যোগ দিলেও শেষ দিনের প্রচারে ছিলেন না। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, বিআরএস এবং কংগ্রেসের মধ্যেই মূল লড়াই হতে চলেছে বুঝে সর্বশক্তি দিয়ে তেলঙ্গানার ভোটে ঝাঁপাচ্ছে না বিজেপি।
১১৯ আসনের তেলঙ্গানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ৬০। কয়েকটি জনমত সমীক্ষা বলছে, সে রাজ্যে এ বার চতুর্মুখী লড়াইয়ে কোনও দলই তা ছুঁতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে ‘নির্ণায়ক’ হয়ে উঠতে পারে বিজেপি এবং ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম)-এর প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ভূমিকা। বাস্তবের সঙ্গে জনমত সমীক্ষা বা বুথফেরত সমীক্ষা মেলে না অনেক সময়েই। তবে মেলার উদাহরণও কম নয়।
২০১৮-র বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি বা টিআরএস ৮৮টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছিল। এ বার সেই দলের নাম বদলে হয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। এ ছাড়া কংগ্রেস ১৯, মিম ৭, বিজেপি ১ এবং অন্যেরা জিতেছিল ৪টিতে। এ বার ভোটের আগেই মিম প্রধান আসাদউদ্দিন জানিয়ে দিয়েছেন, যেখানে তাঁদের প্রার্থী নেই সেখানে বিআরএস প্রার্থীদের সমর্থন করা হবে।