Barail forest

বড়াইল বনের রহস্য ফাঁস হবে ক্যামেরায়

মোট ৫০টি ক্যামেরায় কাছাড় জেলার ৮০ বর্গ কিমি অভয়ারণ্য ঘিরে ফেলা হবে৷

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২০ ০১:০৭
Share:

ফাইল চিত্র।

ঠিক করে কেউ জানে না, কী কী আছে দক্ষিণ অসমের বড়াইল পাহাড়ের বনে। এ বার সেই রহস্য ফাঁস হবে যন্ত্রচোখে। বন্যপ্রাণী সমীক্ষায় ক্যামেরা বসছে এই অভয়ারণ্যে৷ শুক্রবার কাছাড় জেলার মারুয়াছড়ায় পাহাড়চূড়ায় প্রথম ক্যামেরাটি লাগানো হয়৷ নীচের দিকে বসেছে আর একটি৷ মোট ৫০টি ক্যামেরায় কাছাড় জেলার ৮০ বর্গ কিমি অভয়ারণ্য ঘিরে ফেলা হবে৷

Advertisement

কাছাড়ের ডিএফও সান্নিদেও চৌধুরী জানান, প্রথম দু’টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে পাইলট হিসেবে। বাকিগুলি বসবে সায়েন্টিফিক সার্ভের পরে৷ দু’-তিন দিনের মধ্যে সার্ভের টিম তৈরি হবে৷ তারা কোন এলাকায় কী ধরনের প্রাণী রয়েছে, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করবে৷ এর ভিত্তিতে বাকি ৪৮টি ক্যামেরা বসানোর জায়গা চূড়ান্ত হবে৷ ডিএফও-র আশা, অগস্টের মধ্যে সমীক্ষা সেরে ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হবে৷ পুজোর আগে বড়াইল অভয়ারণ্যের জীবজন্তুর প্রামাণ্য দলিল তৈরি হয়ে যাবে৷

বড়াইলে কী কী রয়েছে, এ নিয়ে নানা চর্চা চললেও সঠিক জবাব মেলে না৷ ২০১৮ সালে তৎকালীন অতিরিক্ত প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর এম কে যাদব লিখেছেন, বড়াইল অভয়ারণ্যে চায়না প্যাঙ্গোলিন, উড়ন্ত শেয়াল, হিমালয়ান কালো ভালুক, হুলোক গিবন, ক্লাউডেড লেপার্ড, হর্নবিল, কিং কোবরা প্রভৃতি রয়েছে৷ সূত্র হিসেবে ১৯৭০ সালের এক পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি৷ তবে সেটি কে করেছিলেন, যাদব তা জানতে পারেননি৷ সান্নিদেও চৌধুরী বলেন, ৫০ ক্যামেরা কাজ শুরু করলে সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে৷ আর পাহাড়ের বুকে কয়েকটি টাওয়ার নির্মাণ করে ওয়াইল্ডলাইফ ট্যুরিজমেরও প্রসার ঘটানো যাবে৷

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement