মণিপুরে অ-মণিপুরিদের হেনস্থা নিয়ে ফের সরব হল নর্থ-ইস্ট পিপলস অর্গানাইজেশন (নেপো)। ৭ দিন সময় দিয়ে শিলচর ভিত্তিক সংগঠনটি মণিপুরের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
নেপো-র সভাপতি প্রদীপকুমার দে, সম্পাদক সঞ্জীব রায় বলেন— ‘‘কয়েক দিন পরপর একেক ইস্যুতে সেখানে অ-মণিপুরিদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করা হয়। ইনার লাইন পারমিট নিয়ে আন্দোলনের নামে মণিপুরিরা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। রাস্তাঘাটে মারপিট, টানাহ্যাঁচড়া লেগেই রয়েছে।’’ কয়েক দিন আগে ইম্ফলে বাঙালি ব্যবসায়ীদের দোকানপাট, বাড়িঘরে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
গত নভেম্বরে একই অভিযোগে অর্থনৈতিক অবরোধের ডাক দিয়েছিল নেপো। সে সময় মধ্যস্থতায় নেমে কাছাড় জেলা প্রশাসন মণিপুরের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলনকারীদের নিরস্ত করে। দুই রাজ্য প্রশাসন তাঁদের আশ্বস্ত করেছিল, সেখানে অহেতুক কেউ হেনস্থার শিকার হবেন না। কিন্তু মণিপুর সরকার কথা রাখেনি বলে অভিযোগ করে নেপো। সংস্থার সদস্য বাহারুল ইসলাম বড়ভুঁইঞা বলেন, ‘‘একের পর এক অমণিপুরি নিগ্রহের ঘটনা ঘটে চলেছে। মণিপুর সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকায়। তাই এ বার আর কোনও আবেদন-নিবেদন নয়। এক সপ্তাহের মধ্যে সে রাজ্যে নির্যাতন বন্ধ না হলে অর্থনৈতিক অবরোধ শুরু হয়ে যাবে। কোনও যানবাহনকে কাছাড়ের উপর দিয়ে মণিপুরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’’
বরাক উপত্যকার মণিপুরি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ ঝাড়েন তাঁরা। সভাপতি প্রদীপবাবু জানান, তাঁরা অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খোলার বদলে নেপো-কে দোষারোপ করে। বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগ আনে তাঁদেরই বিরুদ্ধে। মণিপুরি সংগঠনগুলিকেও এ বার সতর্ক করে দেন প্রদীপবাবু, সঞ্জীববাবুরা।
সমগ্র মণিপুরি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে তাঁদের কোনও ক্ষোভ নেই, এ কথা উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, ‘‘অহেতুক মারপিটের বিরুদ্ধে সকলের সরব হওয়া উচিত।’’
এ ছাড়া, মণিপুরিরা সারা দেশে ঘুরে বেড়াবে, আর মণিপুরে আওয়াজ তুলবে, অ-মণিপুরিদের থাকতে দেবো না, এ কেমন আব্দার, প্রশ্ন করেন নেপো কর্মকর্তারা।