প্রতীকী ছবি।
গ্রামের মুদিখানার দোকানে ওয়াই-ফাই যন্ত্র বসানো থাকবে। আগে যেমন কয়েন-ফেলা টেলিফোন বুথ থাকত, এখন তেমনই মুদিখানার কাছাকাছি এলে মোবাইলে ওয়াই-ফাই সিগনাল মিলবে। সামান্য খরচে মিলবে ইন্টারনেট পরিষেবা। কেউ চাইলে এই ওয়াই-ফাই যন্ত্র ঠেলাগাড়িতে চাপিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন ইন্টারনেটের ডেটা বেচতেও।
দু’বছর আগে তৎকালীন কেন্দ্রীয় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মনোজ সিনহা এই ‘পাবলিক ডেটা অফিস’ পরিষেবা চালু করেছিলেন। এ বার সেই একই প্রকল্প নতুন মোড়কে সাজিয়ে ফের ঘোষণা করল মোদী সরকার। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা নতুন মোড়কে এই পুরনো প্রকল্পে সিলমোহর বসিয়েছে। বর্তমান টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের কথায় দেশে ‘ওয়াই-ফাই বিপ্লব’ নিয়ে আসতে চলা এই প্রকল্পের নাম হবে পিএম-বাণী (প্রধানমন্ত্রী ওয়াই-ফাই অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস)।
রবিশঙ্কর জানান, যে সমস্ত সংস্থা এই সব ওয়াই-ফাই যন্ত্র বসিয়ে ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবস্থা করবে, তাদের কোনও রকম লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন ও ফি-এর দরকার পড়বে না। গোটা দেশেই এই রকম ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হবে। ফলে প্রত্যন্ত গ্রামে বসেই ইন্টারনেটে ব্যবসায়িক লেনদেন করা যাবে। কোভিড পরিস্থিতিতে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর জমানায় গ্রামের বাড়িতে বসেও সবাই কাজ করতে পারবেন। অনলাইনে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও ছাত্রছাত্রীদের বিরাট সুবিধা হবে। তাঁর বক্তব্য, অতিমারি দেখিয়ে দিয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা কতখানি দরকারি। কারণ আরও বেশি মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। ওয়াই-ফাইয়ের খরচ নিয়ে রবিশঙ্করের বক্তব্য, পুরোটাই বাজারের উপরে ছেড়ে দেওয়া হবে। বেসরকারি সংস্থাগুলি নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করলে ডেটা মাসুলও কমে আসবে।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে লক্ষদ্বীপ পর্যন্ত সমুদ্রের নীচে অপটিকাল ফাইবার কেবল বসানোর জন্য ১,০৭২ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। অরুণাচল প্রদেশ, অসমের কার্বি আংলং এবং ডিমা হাসাও জেলার জন্য ফোর-জি পরিষেবা চালু করতেও ২,০২৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।