৫৭ জন পুলিশের ক্ষত! পাওয়া গেল ১ জনকে

সতপাল ওই চ্যানেলকে জানিয়েছেন, ২০ ডিসেম্বর গোলমালের খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। কারা গুলি ছোড়ে, বুঝতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ০২:২২
Share:

ফাইল চিত্র।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গত মাসের মাঝামাঝি উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন এলাকা। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে শুধুমাত্র ওই রাজ্যেই মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২১ জন বিক্ষোভকারীর। এর পরে বিক্ষোভ ঠেকাতে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। কিন্তু পুলিশের যুক্তি ছিল, কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভকারীরা এতটাই মারমুখী হয়ে উঠেছিল যে তাদের ঠেকাতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। পুলিশের আরও দাবি ছিল, রাজ্যে মোট ৫৭ জন পুলিশ কর্মীর দেহে বুলেটের ক্ষত রয়েছে। কিন্তু একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলের রিপোর্টে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, অনেক খোঁজাখুঁজি করে বিক্ষোভ চলাকালীন গুলিতে আহত মাত্র এক পুলিশকর্মীর সন্ধান পেয়েছে তারা। চ্যানেলটির দাবি, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করলেও তাঁরা আহত পুলিশকর্মীদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি।

Advertisement

ওই চ্যানেলের রিপোর্ট অনুযায়ী, জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন মুজফ্ফরনগরের পুলিশ সুপার সতপাল আন্তিল। সতপাল ওই চ্যানেলকে জানিয়েছেন, ২০ ডিসেম্বর গোলমালের খবর পেয়ে বাহিনী নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। কারা গুলি ছোড়ে, বুঝতে পারেননি। সতপালের কথায়, ‘‘পা দিয়ে যখন প্রচুর রক্ত বেরোতে শুরু করে, তখন বুঝি গুলি লেগেছে।’’ চ্যানেলের বক্তব্য, সতপাল ছাড়া অন্য কোনও জেলার কোনও পুলিশকর্মীর দেহে বুলেটে ক্ষতের প্রমাণ তারা পায়নি। মেরঠের পুলিশ প্রধান অজয় সাহনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বাহিনীর দু’জন অফিসারের গুলি লেগেছে। বিজনৌরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও জানিয়েছিলেন তাঁর এলাকার ন’জন পুলিশকর্মীর দেহে বুলেটের আঘাত লেগেছে। কিন্তু ওই চ্যানেলের রিপোর্টারেরা তাঁদের সন্ধান পাননি। এই রিপোর্টটি অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের টুইটার হ্যান্ডল থেকে চ্যানেলটিকে জানানো হয়, আহত পুলিশকর্মীদের তালিকা ও সরকারি রেকর্ড তাদের কাছে জমা রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement