বিতর্কিত সিএএ নিয়ে আদালতে হলফনামা কেন্দ্রের। —ফাইল চিত্র।
একমাত্র সংসদের হাতেই নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের সার্বভৌম ক্ষমতা রয়েছে। এ নিয়ে আদালতে কোনও সওয়াল-জবাব হতে পারে না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
সিএএ-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত কয়েক মাসে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আদালতে ১২৯ পাতার একটি হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্র। তাতে বলা হয়, সিএএ-র জন্য কোনও নাগরিকের মৌলিক অধিকার খর্ব হবে না। তাই ওঠে নাসাংবিধানিক নৈতিকতা লঙ্ঘনের প্রশ্নও।
গত বছরের শেষ দিকে সংসদে সিএএ আইন পাশ করায় কেন্দ্র সরকার। তার আওতায় তিন পড়শি দেশ— বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত ধর্মীয় নিপীড়ণের শিকার হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, এবং পারসিদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেই ম্যাজিস্ট্রেটের সই, বাতিল দীনেশ বজাজের মনোনয়ন, রাজ্যসভায় মসৃণ বিকাশের পথ
আরও পড়ুন: করোনা কাঁটা: কাল থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত টালিগঞ্জে সমস্ত শুটিং বাতিল
এ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি তুলে আসছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই তালিকা থেকে মুসলিমদের বাদ দেওয়া হয়েছে, যা সংবিধান বিরোধী। তাই এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। সর্বপ্রথম কেরল বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়। সিএএ-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যায় তারা। পরে রাজস্থান সরকারও একই পথ অনুসরণ করে। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা মনোজ ঝা, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি-সহ আরও অনেকে এই আইনের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন জমা দেন।
তারই প্রেক্ষিতে এ দিন কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে হলফনামা জমা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ডিরেক্টর বিসি জোশী। তাতে বলা হয়, সংশোধিত এই আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়নি।