পুনের কসবা হারলেও পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় জিতেছে বিজেপি। প্রায় ৩৬ হাজার ভোটে জিতেছেন বিজেপির অশ্বিনী জগতাপ। ছবি: সংগৃহীত।
সাগরদিঘির পাশাপাশি দেশের ৪ রাজ্যের ৫ আসনে ২৭ ফেব্রুয়ারি হয়েছিল উপনির্বাচন। তারও ফল ঘোষণা হল বৃহস্পতিবার। মোট ৬ আসনের উপনির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বিজেপি আর কংগ্রেসের। সাগরদিঘিতে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে জিতেছে সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। মহারাষ্ট্রের কসবা পেথে বিজেপি দুর্গ ধসিয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। তামিলনাড়ুর এরোডেও বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে তারা। পুণের চিঞ্চওয়াড় দখলে রেখেছে বিজেপিই। ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে জিতেছে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী। অরুণাচল প্রদেশের লুমলা কেন্দ্রে জয়ী বিজেপি প্রার্থী।
মহারাষ্ট্রের কসবা পেথ বিজেপি দুর্গ বলেই পরিচিত ছিল। বিজেপির থেকে সেই আসনই ছিনিয়ে নিলেন প্রাক্তন শিবসেনা নেতা রবীন্দ্র ধাঙ্গেকর। শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ। তার পর থেকে বরাবর রাজ ঠাকরের অনুগামী ছিলেন। রাজের সঙ্গে তিনিও শিবসেনা ছাড়েন। যোগ দেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-এ। ৪ বার পুণে পুরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
২০১৭ সালে এমএনএস ছেড়ে দেন রবীন্দ্র। তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার চেষ্টা সফল হয়নি। ওই বছরই পুণের পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন রবীন্দ্র। বিজেপির ওজনদার প্রার্থীকে হারিয়ে ভোটে জেতেন। পরে যোগ দেন কংগ্রেসে। নিচু তলার এমএনএস কর্মীদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন রবীন্দ্র। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এমএনএসের নিচুতলার কর্মীরাই রবীন্দ্রের হয়ে প্রচার করে তাঁকে জিতিয়ে দিয়েছেন। নির্বাচনে বিজেপিকেই সমর্থন করেছিল এমএনএস। কিন্তু কসবায় তাদের কর্মীরা বিজেপি প্রার্থীকে মানতে পারেননি। তা-ই প্রতিফলিত হয়েছে ভোটবাক্সে। আর তারই লাভ পেয়েছেন রবীন্দ্র।
পুণের কসবা হারলেও পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় জিতেছে বিজেপি। প্রায় ৩৬ হাজার ভোটে জিতেছেন বিজেপির অশ্বিনী জগতাপ। কংগ্রেসের নানা কাটেকে হারিয়েছেন তিনি। এই প্রথম পুনের এই কেন্দ্রের বিধায়ক হলেন কোনও মহিলা।
তামিলনাড়ুর এরোডে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী ইভিকেএস ইলাঙ্গভান। ৬৬ হাজার ভোটে। বিরোধী এআইএডিএমকে অবশ্য এই জয়ের নেপথ্যে শাসকদল ডিএমকের হাত দেখছে। তারা অভিযোগ করেছে, এরোডে ভোটের নামে ‘গণতন্ত্রের খুন’ হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই বিজয়ী প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়েছে বলেন, ‘‘আশা করব ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন।’’
ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে উপনির্বাচনে জিতেছে এনডিএর প্রার্থী। ওই আসনে অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আজসু)-র সুনীতা চৌধরিকে সমর্থন করেছিল বিজেপি। কংগ্রেসের বজরং মাহাতোকে ২১ হাজার ৯৭০ ভোটে হারিয়েছেন সুনীতা।
অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলার লুমলা আসনেও জিতেছে বিজেপি। এর আগেও আসনটি তাদেরই দখলে ছিল। প্রাক্তন বিধায়ক জাম্বে তাশির মৃত্যুর পর আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। তাঁর জায়গায় উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হয় তাঁর স্ত্রী শেরিং লামুকে। শেরিং জিতে গিয়েছেন।