Indian Railway

বিমানে রেলমন্ত্রীকে ন্যাপকিনে লিখে প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠালেন ব্যবসায়ী, ৬ মিনিটেই ডাক

বিমানসেবিকার দেওয়া ন্যাপকিনে নিজের প্রস্তাবের কথা লিখে রেলমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন অক্ষয়। সেখানে নিজের পরিচয় জানান তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৪
Share:

ছবি সংগৃহীত।

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে একই বিমানে যাত্রা করছিলেন কলকাতার এক ব্যবসায়ী। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে রেলমন্ত্রীর কাছে পৌঁছনো সম্ভব ছিল না তাঁর। তাই বিমানসেবিকার দেওয়া ন্যাপকিনে নিজের প্রস্তাব লিখে অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে পাঠালেন তিনি। আশ্চর্যজনক ভাবে, বিমানবন্দরে অবতরণের ৬ মিনিটের মধ্যেই তাঁর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্য রেল মন্ত্রকের কাছ থেকে ফোন পান তিনি।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত ২ ফেব্রুয়ারি মধ্য রাতে দিল্লি থেকে কলকাতা ফিরছিলেন অক্ষয় সাতনালিওয়ালা। আকাশে ওড়ার কিছু ক্ষণ পরেই দেখতে পান একই বিমানে রয়েছেন ভারতের রেলমন্ত্রী। অক্ষয়ের নিজের একটি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি আছে। সেই কোম্পানির নাম মেসার্স ইস্টার্ন অর্গানিক ফার্টিলাইজার প্রাইভেট লিমিটেড। রেল কী ভাবে কঠিন এবং অন্যান্য বর্জ্য পরিবহণের সস্তা মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে সেই নিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়ে অনুরোধ করেন। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে অক্ষয়ের অনুরোধ রাখতে পারেননি বিমানসেবিকা।

তাই সময় নষ্ট না করে বিমানসেবিকার দেওয়া ন্যাপকিনে নিজের প্রস্তাবের কথা লিখে রেলমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেন অক্ষয়। সেখানে নিজের পরিচয় জানান তিনি। সেই সঙ্গে লেখেন, “আপনি যদি অনুমতি দেন, তবে রেলওয়ে কী ভাবে সাপ্লাই চেনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠতে পারে, সেই নিয়ে আলোচনা করতে পারি। এই উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অবদান রাখতে পারে।”

Advertisement

বিমানবন্দরে নামার ৬ মিনিটের মধ্যেই অক্ষয়ের কাছে একটি ফোন আসে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে জানানো হয়, পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ কে দেউস্কর তাঁকে খুঁজছেন। ফোনে অক্ষয়কে জানানো হয়, তাঁর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে চান তিনি। ৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠকের সময় দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই সেই বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার ছাড়াও ছিলেন অন্যান্য আধিকারিকেরা।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন অক্ষয়। পাশাপাশি রেলওয়ে কী ভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সহজ এবং সাশ্রয়ী মাধ্যম হতে পারে তাও জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর কোম্পানি কী ভাবে রেলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারে, তার এক রূপরেখাও তুলে ধরেছেন অক্ষয়। বৈঠক ইতিবাচক বলেই খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement