বাস থানায় নিয়ে যেতেই কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিল পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।
রাতের বাস। ফলে যাত্রীসংখ্যাও একটু বেশি ছিল। টিকিট কাটতে কাটতেই পকেটে হাত দিতে চমকে ওঠেন কন্ডাক্টর। পকেটে রাকা মোবাইলটি কেউ ভিড়ের মধ্যে চুরি করে নিয়েছেন! বাস তখন গন্তব্য থেকে অনেকটাই দূরে। মোবাইল চুরি যেতেই কন্ডাক্টর মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। তিনি বাসের যাত্রীদের এক এক করে জিজ্ঞাসা করেন, কেউ তাঁর মোবাইলটি দেখেছেন কি না। কিন্তু সকলেই না বলেন।
থানার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল বাসটি। কন্ডাক্টর কাউকে কিছু না বলেই বাসটি সোজা থানায় ঢুকিয়ে দিতে বলেন চালককে। চালকও যাত্রীদের নিয়ে থানায় বাস ঢুকিয়ে দেন। কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিলেন না যাত্রীরা। বাসের ভিতরে তখন কোলাহল সৃষ্টি হয়। বাস থেকে নেমে কন্ডাক্টর থানার ভিতরে ঢুকে যান। সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের কাছে বিষয়টি জানান।
কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক কন্ডাক্টরের অভিযোগ শুনে বাইরে দাঁড়ানো বাসের কাছে আসেন। বাসের ভিতরে তখন ঠাসা যাত্রী। তা দেখেই কন্ডাক্টরকে ওই আধিকারিক প্রশ্ন করেন, কেন এত যাত্রী তুলেছেন তিনি। তখন কন্ডাক্টর দাবি করেন, তিনি অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে চাননি। রাতে বাস কম থাকায় যাত্রীরা প্রায় জোর করেই উঠে পড়েন। কিন্তু কন্ডাক্টরের এই দাবি পুলিশের মন গলাতে পারেনি। আইন ভাঙার অভিযোগে পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধেই মামলা রুজু করে পুলিশ। যদিও কন্ডাক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে বাসযাত্রীদের তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু মোবাইল পাওয়া যায়নি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে।