দেশের সেরা একশোয় বর্ধমান

ওই তালিকা অনুযায়ী, কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে তালিকার গোড়ার দিকে। শেষের দিকে ৯১ থেকে ৯৫ নম্বরে রয়েছে বর্ধমান। তার পরে নাম রয়েছে কল্যাণী ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের। আবার এশিয়ার সাড়ে পাঁচশো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ওই র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী ৩৫১ থেকে ৪০০-র মধ্যে ঠাঁই পেয়েছ বর্ধমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:১০
Share:

সময়ে ফলপ্রকাশ না হওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ, ছাত্র আন্দোলনে বারবার শিরোনামে আসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। এ বার অবশ্য ‘কিউ এস র‌্যাঙ্কিংয়ে’ দেশের সেরা একশো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঠাঁই পেয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

ওই তালিকা অনুযায়ী, কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে তালিকার গোড়ার দিকে। শেষের দিকে ৯১ থেকে ৯৫ নম্বরে রয়েছে বর্ধমান। তার পরে নাম রয়েছে কল্যাণী ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের। আবার এশিয়ার সাড়ে পাঁচশো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ওই র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী ৩৫১ থেকে ৪০০-র মধ্যে ঠাঁই পেয়েছ বর্ধমান। ৫০১ থেকে সাড়ে পাঁচশোর মধ্যে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। আবার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি’র নাম রয়েছে ওই তালিকায়।

বাছাইয়ের মাপকাঠির মধ্যে ছিল পঠনপাঠনের সুনাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা যে সব সংস্থায় চাকরি পান তার মান, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত, পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে ক’জন শিক্ষকের, শিক্ষক পিছু গবেষণার সংখ্যা, প্রতিটি গবেষণাপত্রে ‘সাইটেশন’ কত, আন্তর্জাতিক শিক্ষক কত জন রয়েছেন ইত্যাদি। আবার দেশীয় স্তরে তুলনামূলক বিচার করার সময় পঠনপাঠনের বিষয়, সময়ে ফল বার করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার সংখ্যা, ছাত্র বিনিময়, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ গবেষণা করার বিষয়গুলিকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ডিন পবিত্রকুমার চক্রবর্তীর দাবি, “সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিয়ে কিউ এস র‌্যাঙ্কিং হয়। দেশের নিরিখেও কিউ এস র‍্যাঙ্কিংয়ে একশোর মধ্যে স্থান পাওয়াও গর্বের ব্যাপার।’’ কলা বিভাগের ডিন রমেন সরও বলেন, “কিউ এস র‌্যাঙ্কিং করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও তথ্য পাঠানো হয় না। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য নিয়ে র‌্যাঙ্কিং করায় প্রতিযোগিতা জোরদার হয়।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশের দাবি, স্নাতকোত্তর স্তরে ফল বার করা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা নেই। কিন্তু স্নাতক স্তরে ফলপ্রকাশ নিয়ে ফি বছর সমস্যা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে ফলপ্রকাশ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নম্বর আরও বাড়ত, তাঁদের অনুমান। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক পড়ুয়ার সংখ্যা কম ও আন্তর্জাতিক শিক্ষক না থাকাতেও পিছিয়ে পড়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তাফাজল হোসেন বলেন, “সবাইকে নিয়ে চলাই হল বর্ধমানের ঐতিহ্য। সেই প্রক্রিয়ায় সুফল মিলেছে। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাজ্য সরকার আমাদের নানা ভাবে সাহায্য করেছে। তার জন্যও আমরা কৃতজ্ঞ।’’ তিনি জানান, গোলাপবাগের কাছে আন্তর্জাতিক মানের হস্টেল হচ্ছে। ওই হস্টেল তৈরি হয়ে গেলে বিদেশি পড়ুয়া ও শিক্ষকেরা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আসার সুযোগ পাবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement