Haryana

নুহ-তে আবার চলল বুলডোজ়ার

দু’ডজন ওষুধের দোকান-সহ প্রায় ৪৫টি দোকানে চলল বুলডোজ়ার। বেশির ভাগই নলহারের শহিদ হাসান খান মেওয়াতি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন ওষুধের দোকান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

গুরুগ্রাম শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৩ ০৭:১১
Share:

হরিয়ানার নুহ-তে চলল বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ অভিযান। ছবি: পিটিআই।

গত দু’দিনের পরে আজও হরিয়ানার নুহ-তে চলল বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ অভিযান। আজ দু’ডজন ওষুধের দোকান-সহ প্রায় ৪৫টি দোকানে চলল বুলডোজ়ার। বেশির ভাগই নলহারের শহিদ হাসান খান মেওয়াতি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন ওষুধের দোকান। বছর তিনেক ধরে ওই দোকানগুলি ছিল সেখানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্তারাও।

Advertisement

ইতিমধ্যেই ৫০ থেকে ৬০টি কাঠামো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রেফতারির আশঙ্কায় ঘর ছেড়েছেন অনেকে। সাম্প্রতিক গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরেই বেআইনি দখলদার উচ্ছেদ অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। যদিও এই সিদ্ধান্তের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা আফতাব আহমেদ।

একটি ভিডিয়ো টুইট করে তাঁর অভিযোগ, নুহ-তে শুধু গরিবের ভিটে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে না, মানুষের আস্থা ও ভরসাকেও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আজ ঘরবাড়ি ভাঙার সময়ে ঘুরপথে এক মাস আগের নোটিস দেখানো হয়। প্রশাসনিক ব্যর্থতা আড়াল করতেই হরিয়ানার বিজেপি সরকার ভুল পদক্ষেপ করছে বলেও অভিযোগ ওই কংগ্রেস বিধায়কের। সংঘর্ষের পরেই পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকেই অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গুরুগ্রাম জেলা প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন বস্তিতে গিয়ে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করা হয়, তাঁরা যাতে শহর না ছাড়েন। কাজে যোগ দিতেও বলা হয়। আজ গুরুগ্রামের ডেপুটি কমিশনার নিশান্ত কুমার যাদব সেক্টর ৫৮ এবং‌ সেক্টর ৭০ পরিদর্শন করেন। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি শান্ত। আশঙ্কার কারণ নেই। সিআরপি-র ইনস্পেক্টর জেনারেল জসবীর সিংহ সান্ধুও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরার দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement

এক দিকে যখন নুহ-সহ বহু জায়গাতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে প্রশাসনের দাবি, সেই সময়েই রোহতকের এক ধর্মীয় স্থানের প্রবেশদ্বারে পাথর ছোড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল। ঘটনাটি শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটে। এর পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রোহতকের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। ওই ধর্মস্থানের চারপাশে নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement