বুলন্দশহর হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত সেনা জওয়ান জিতেন্দ্র মালিক ওরফে জিতু ফৌজি।
আটক হয়েছিলেন আগেই। বুলন্দশহর হিংসার ঘটনায় সেনা জওয়ান জিতেন্দ্র মালিক ওরফে জিতু ফৌজিকে গত কাল গভীর রাতে জম্মু-কাশ্মীরে গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিশেষ দল। জিতুকে রাজ্যে ফিরিয়ে এনে আজ আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, মোবাইলে তোলা ভিডিয়োতে জিতুকেই দেখা গিয়েছে। গত সোমবার তিনি জনতাকে প্ররোচিত করেছিলেন। পাথর ছোড়ার ঘটনাতেও তিনি জড়িত বলে ধারণা পুলিশের। কেন এক জন সেনা স্লোগান দিয়ে এমন ঘটনায় ইন্ধন দেবেন, সেই প্রশ্ন তুলে ওই পুলিশকর্তা দাবি করেন, খুব শীঘ্রই বজরং দলের নেতা তথা আর এক প্রধান অভিযুক্ত যোগেশ রাজকে হাতে পাবেন তাঁরা।
পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে কর্মরত জিতু ১৫ দিনের ছুটিতে বুলন্দশহরে নিজের বাড়িতে এসেছিলেন। গন্ডগোলে ইনস্পেক্টর সুবোধকুমার সিংহ-সহ দু’জনের মৃত্যুর পরেই তিনি জম্মু-কাশ্মীরের সোপোরে নিজের ইউনিটে ফিরে যান। গত ৩৬ ঘণ্টা ধরে জিতুর উপরে নজর রাখছিল পুলিশ। কাশ্মীরে রওনা হয়েছিল দু’টি বিশেষ দল। গত কাল জিতুকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় রাষ্ট্রীয় রাইফেলস। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষ হয়েছে। জিতুকে বুলন্দশহরেও নিয়ে যাওয়া হবে। ইনস্পেক্টর সুবোধকুমারের খুনের নেপথ্যে দাদরির মহম্মদ আখলাকের হত্যাকাণ্ডের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
রবিবার বুলন্দশহরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইস আখতারকে লখনউয়ের প্রাদেশিক সশস্ত্র বাহিনীর সদর দফতরে বদলি করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব অরবিন্দ কুমার এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়ে বলেছেন, রইসের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মণীশ মিশ্র। তিনি গাজ়িয়াবাদের পুলিশ কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে ছিলেন। গত সোমবার বুলন্দশহরের পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের কী ভূমিকা ছিল, তা নিয়ে শুক্রবার রিপোর্ট জমা দেন এডিজি (গোয়েন্দা) এস বি শিরোদকর। তার পরেই এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ তিন পুলিশ অফিসারকে সরানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বুলন্দশহরের এসএসপি কৃষ্ণ বাহাদুর সিংহ, সিয়ানা অঞ্চলের সার্কল অফিসার সত্যপ্রকাশ শর্মা এবং চিঙ্গারাবতী পুলিশ চৌকির দায়িত্বপ্রাপ্ত সুরেশ কুমার।