সংসদে ঢুকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
এক দিকে কোভিড পরিস্থিতি, অন্য দিকে কৃষক বিক্ষোভ। সেই অবস্থাতেই শুক্রবার থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হল। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
তার পর এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অধিবেশন চলবে। তবে বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে অপ্রিয় প্রশ্নে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে মুখিয়ে রয়েছেন বিরোধীরা। সেই সঙ্গে কোভিডকালে দেশের ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি নিয়েও প্রশ্ন সামলাতে হতে পারে তাঁকে।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পৌঁছে গিয়েছেন সংসদে। বলেন, ‘‘নতুন দশকের প্রথম অধিবেশন আজ। এই অধিবেশনে আলোচনার মধ্যে দিয়ে উঠে আসুক অমৃত। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্বপ্নপূরণের সময় এসেছে।’’
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণ দিয়ে এই প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হল। কোবিন্দ বললেন, ‘‘পূরণ হচ্ছে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন। করোনার বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়ছে দেশ। দেশের করোনা টিকাকরণ অভিযান সফল।’’
কোভিড পরিস্থিতিতে ৩টি আলাদা জায়গায় সমস্ত সাংসদদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংসদের দুই কক্ষের সদস্যদের উদ্দেশেই বক্তৃতা করবেন কোবিন্দ। তবে কৃষক আন্দোলনে সমর্থনে জানিয়ে ইতিমধ্যেই ১৯টি বিরোধী দল তাঁর বক্তৃতা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা গোলাম নবি আজাদ।
তবে শুধু কৃষক আন্দোলনই নয়, এ বারের বাজেটে দেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি এবং তা নিয়ে অপ্রিয় প্রশ্ন সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ কেন্দ্র ভূরি ভূরি দাবি করলেও, অর্থনীতি সে ভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে না বলে মত অর্থনীতিবিদদের একাংশের। বরং চলতি অর্থবর্ষে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার ২৫ শতাংশ কমতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
অতিমারি পরিস্থিতিতে মাঝপথে বাদল অধিবেশন বাতিল হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম সংসদে অধিবেশন শুরু হল। কোভিডের জন্য এ বারে শীতকালীন অধিবেশনও বসেনি। তবে এ বারে সপ্তাহান্তে অধিবেশন বসবে না।
কোভিড পরিস্থিতিতে অধিবেশনের জন্য বিশেষ সতর্কতাও অবলম্বন করা হচ্ছে। উপ রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু এবং অন্য সাংসদরা ইতিমধ্যেই কোভিড টেস্ট করিয়েছেন। কর্মী, আধিকারীক মিলিয়ে রাজ্যসভা সেক্রেটারিয়েট থেকে মোট ১২০০ জন কোভিড টেস্ট করিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জনেরও রিপোর্ট পজিটিভ আসেনি।