অন্তর্বর্তী বাজেট বক্তৃতায় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন পীযূষ। ছবি: এপি।
অন্তর্বর্তী বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এই প্রথম প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ তিন লক্ষ কোটি টাকা ছুঁয়েছে। গত বারের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ১.৪৩ শতাংশ। বাজেট বক্তৃতায় সেনাবাহিনীর ‘এক পদ এক পেনশন’ নিয়ে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেছেন তিনি।
অন্তর্বর্তী বাজেট বক্তৃতায় প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন পীযূষ। তিনি বলেছেন, ‘‘২০১৯-’২০ অর্থবর্ষের জন্য প্রতিরক্ষায় বাজেট বরাদ্দ তিন লক্ষ কোটি টাকার বেশি রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামোর জন্য যদি আরও অর্থের প্রয়োজন হয়, তবে তা-ও দেওয়া হবে।’’ তাঁর মতে, কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে জওয়ানেরা সীমান্তের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেন। সেই কারণে তাঁদের সুযোগসুবিধার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। পীযূষ ঘোষণা করেছেন, ‘‘বাজেটে সেনাবাহিনীর বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হচ্ছে। বিপদসঙ্কুল এলাকায় যে সব বায়ু এবং নৌ-সেনা নিযুক্ত রয়েছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ ভাতার প্রস্তাব করা হয়েছে অন্তর্বর্তী বাজেটে।’’ গত বাজেটে অবশ্য প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছিল সাড়ে সাত শতাংশের বেশি।
‘এক পদ এক পেনশন’ (ওআরওপি) প্রসঙ্গে পীযূষ বলেন, ‘‘২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেটে বরাদ্দ ছিল পাঁচশো কোটি। আমরা ৩৫ হাজার কোটি টাকা বণ্টন করেছি।’’ বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এক বছরে ডলারের তুলনায় টাকার দাম কমেছে। ভারত সবচেয়ে বেশি অস্ত্র আমদানি করে। তাই প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ বা়ড়লেও তা কতটা ফলপ্রসূ হবে, প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।