পীযূষ গয়াল।
দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। তাই প্রথা অনুযায়ী শুক্রবার অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করার কথা ছিল মোদী সরকারের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের। যেখানে পুরো বছরের বাজেট ঘোষণা করার কথাই নয় তাঁর। অথচ ঘটল ঠিক উল্টোটা। প্রথা মেনে স্রেফ মাস চারেকের আর্থিক পরিকল্পনা নয়, এমনকি এক বছর বা পাঁচ বছরেরও নয়। অন্তর্বর্তী বাজেটে একেবারে ১২ বছরের স্বপ্ন ফেরি করলেন গয়াল। পেশ করলেন ১০ দফা রূপরেখা।
যা দেখে সংশ্লিষ্ট মহলের কটাক্ষ, ভোটের গুতোয় পায়ের তলার জমি পোক্ত করতে এতটাই মরিয়া সরকার যে, বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। বিশেষত তিন রাজ্যে গদি হারানোর পরে। যে কারণে প্রথা বা সমালোচনার তোয়াক্কা না করেই ১২ বছরের প্রতিশ্রুতি পৌঁছতে নেমে পড়েছেন।
সেই তালিকায় আছে, অর্থনীতির আগামী দশকে ১০ লক্ষ কোটি ডলারের মাইলফলক ছোঁয়া, দেশের প্রতি কোণায় ডিটিজাল ইন্ডিয়াকে পৌঁছে দেওয়া বা বৈদ্যুতিক গাড়ি ও বিকল্প শক্তির হাত ধরে দূষণহীন পরিবেশ তৈরি। রয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ভর করে গ্রামীণ শিল্পায়নের প্রসার ও বিপুল কর্মসংস্থান, দূষণমুক্ত নদী, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, খাদ্যে স্বনির্ভর হওয়ার মতো বিষয়ও।
আরও পড়ুন: ৯ গ্লাস জলে ‘হিংরেজি’ ভোট-ভাষণ পীযূষের
বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারের এই লক্ষ্যগুলো দীর্ঘমেয়াদি রূপরেখা হতে পারে না। সেটা অনেক বড় বিষয়। তারা বলছেন, এ ভাবে বাজেটের একটা বড় সময় অকারণ খরচ করলেন গয়াল।
আরও পড়ুন: টানা জয়ধ্বনি, বাজেটটাই যেন রামলীলা!
বিস্মিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট-কলকাতার অর্থনীতির অধ্যাপক পার্থ রায়ও। তিনি বলছেন, ভারত আট বছরে ১০ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে, এই হিসেব অন্তর্বর্তী বাজেটে কী ভাবে আসে স্পষ্ট নয়। আর বেঙ্গল চেম্বারের অন্যতম কর্তা তথা প্রাক্তন আমলা সুনীল মিত্রের দাবি, ‘‘আমি দু’বছর বাজেট তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু এমন কখনও দেখিনি।’’