কাজ চাই, দাওয়াই কই

বাজেটে এ বারও কিছু ক্ষেত্রে নতুন কর্মীদের ইপিএফের একাংশ বইবার আশ্বাস দিয়েছেন জেটলি।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

বছরে দু’কোটি কাজের সুযোগ তৈরির প্রতিশ্রুতিতে সওয়ার হয়ে দিল্লির মসনদ দখল করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার বাজেটে অন্তত ৭০ লক্ষ কর্মসংস্থানের বন্দোবস্ত করার দাবি জানালেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও। বললেন, মূলত সেই কারণেই নাকি ছোট-মাঝারি শিল্পের পাশে দাঁড়ানোর পক্ষপাতী তাঁরা। কিন্তু শিল্পমহল, আর্থিক বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, নতুন কাজের সুযোগ তৈরির দিশা বাজেটে কার্যত নেই। বড় শিল্প তো দূর অস্ত্‌, যে ছোট ও মাঝারি শিল্প কর্মসংস্থানের মূল সূত্র, খুব কিছু সুখবর নেই তাদের জন্যও।

Advertisement

বাজেটে এ বারও কিছু ক্ষেত্রে নতুন কর্মীদের ইপিএফের একাংশ বইবার আশ্বাস দিয়েছেন জেটলি। তাঁর দাবি, গত বছর এর ফলে কর্মসংস্থান বেড়েছিল। বলেছেন ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যবসা করা সংস্থার কোম্পানি কর ৩০% থেকে কমিয়ে ২৫% করার কথাও। এখন এই সীমা ৫০ কোটি।

ছোট-মাঝারি শিল্পের সংগঠন ফসমি-র কর্তা বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য ও ফ্যাকসি-র হিতাংশু গুহের দাবি, এতে এই শিল্পের খুব লাভ হবে না। বরং একটি করের হারের বদলে সংস্থাগুলির আয়ের ভিত্তিতে একাধিক হার স্থির করলে করের বোঝা কমত। তার বদলে ৫০ লক্ষ টাকা ও ২৫০ কোটি টাকার সংস্থা, উভয়কেই একই বন্ধনীতে ফেলে দেওয়া ঠিক নয়। এই সুবিধা ‘প্রোপ্রাইটরশিপ’ ও অংশীদারি সংস্থা পাবে না বলে হতাশ ফিসমে-র কর্তা অনিল ভরদ্বাজ। সিআইআইয়ের প্রাক্তন কর্তা তথা আর্থিক বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের মতে, কর ছাড়ের সুবিধা যথেষ্ট নয়। বরং সেস বাড়ানোয় তার কিছুটা খর্ব হবে।

Advertisement

বাজেটে গ্রাম ও সামাজিক ক্ষেত্রে জোর দেওয়ায় চাহিদা বাড়বে, আশা ইন্ডিয়ান চেম্বারের শাশ্বত গোয়েন্‌কা ও রুদ্র চট্টোপাধ্যায়ের। দীপঙ্করবাবু অবশ্য জানান, বছরে নতুন কাজের চাহিদা ১.২ কোটি। তার উপর গ্রাম থেকে শহরে আসছেন আরও ৪০ লক্ষ মানুষ। কিন্তু সেই হারে চাকরি বাড়ছে না। ভারত চেম্বারের প্রেসিডেন্ট সীতারাম শর্মার মতে, বেসরকারি লগ্নি ও রফতানি, উন্নয়নের দুটি মূল ইঞ্জিন। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই নির্বাক বাজেট। নোট বাতিল ও জিএসটি-র আঘাতে তৈরি ক্ষতে মলম তাদের জোটেনি।

ছোট-মাঝারি শিল্পের ধার পাওয়া সহজ করতে মুদ্রা যোজনায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ বণ্টনের আশ্বাস মিলেছে। যদিও তাতে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত নয় শিল্প।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement