মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে দুরত্ব বাড়াচ্ছে বিএসপি।
বিজাপিকে হারাতে বিরোধীরা যখন জোটের পথে, মধ্যপ্রদেশে কিন্তু সেই সময় বেঁকে বসল বহুজন সমাজ পার্টি। মায়াবতীর দল জানিয়ে দিল, মধ্যপ্রদেশে তারা একাই লড়বে।
বিএসপি-র এই‘একলা চলো’ নীতিতে কিন্তু বিপদের গন্ধ পাচ্ছে বিরোধী শিবির। সপ্তাহ খানেক আগেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর শপথ অনুষ্ঠানের মঞ্চে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে মায়াবতীর ঘনিষ্ঠতা চোখে পড়েছিল অনেকেরই। তাহলে এর মধ্যে হল কী? প্রশ্নটা উঠছেই। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ফুলপুর উপনির্বাচনে জোটের সাফল্যের পর বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলোর ঐক্য জমাট বাঁধতে শুরু করেছিল। এর পর যত গুলো উপনির্বাচন হয়েছে, অধিকাংশতেই জোটের কাছে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি।
তবুও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের হাত ধরতে রাজি নয় বিএসপি।দলের রাজ্য সভাপতি নর্মদাপ্রসাদ আহিরওয়ার জানিয়েছেন, ‘‘জোট নিয়ে কোনও স্তরেই কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছেন। কিন্তু আমি জানিয়ে দিতে চাই যে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় প্রত্যেকটি আসনেই প্রার্থী দেবে বিএসপি।’’ পাল্টা দিয়েছে কংগ্রেসও। তারা জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে বিএসপি-র সঙ্গে জোটের কথা তারাও বলেনি।
আরও পড়ুন: কুকুর মরলেও কি মোদীকে বলতে হবে? গৌরী-হত্যায় মন্তব্য শ্রীরাম সেনার
আরও পড়ুন: কমিটিতে এনে সাবেক শরিক মমতাকে খুশি করার চেষ্টা মোদীর!
এর আগে রজস্থানে বিএসপি-র সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা খারিজ করে দেয় কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। রাজস্থানের কংগ্রেস সভাপতি শচিন পাইলট জানান, ‘‘বিএসপি-র সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। আমরা রাজস্থানে আগেও জিতেছি। ভবিষ্যতেও জিতব।’’
তবে কি রাজস্থানের জবাব মধ্যপ্রদেশে দিল বিএসপি? প্রশ্নটা থাকছেই। কর্নাটকের উদাহরণ টেনে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ভোটের আগেই যদি জোটে যেত কংগ্রেস ও জেডিএস, তবে তাদের ফল অনেকটাই ভাল হত। তবে কি কর্নাটকের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে? দুই রাজ্যে যে ভাবে কংগ্রেস বিএসপি-র দূরত্ব বাড়ছে, তা কিন্তু বিজেপিকেই বাড়তি সুবিধা করে দেবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে।