সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উদ্ধার করা ড্রোন। — প্রতীকী চিত্র।
পঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় সম্প্রতি একাধিক ড্রোন উদ্ধার হয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, ড্রোন বাজেয়াপ্ত করার ঘটনা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর পর এই ঘটনাগুলির জন্য নজরদারি আরও কঠোর করেছে বাহিনী। বিএসএফের আধিকারিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, পাকিস্তানের কিছু চক্রী ভারতে মাদক এবং অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা করছে। তরুণদের মধ্যে মাদকাসক্তি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে এবং সমাজে সম্প্রীতির আবহ নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছে।
শনিবার বাহিনীর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুক্র থেকে শনির মধ্যে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও চারটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে। গত বছরে পঞ্জাবে পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় ১০৭টি ড্রোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এ বার সংখ্যাটি ইতিমধ্যে ২০০ অতিক্রম করে গিয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এ বছরে ২০০-র বেশি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে। এ ছাড়া মাঝ আকাশে অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে কিছু ড্রোনকে বিকল করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের গ্রামবাসীদের থেকেও ড্রোনের বিষয়ে খবর পান বাহিনীর জওয়ানেরা। অনেক সময়েই সীমান্তের ও পার থেকে পাঠানো ড্রোন গ্রামাঞ্চলের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের থেকে খবর পেয়ে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ।
বাহিনী সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া ড্রোনগুলির বেশির ভাগই চিনে তৈরি। মূলত আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক পাচারের কাজে এগুলি ব্যবহার হয়। তার মধ্যে মাদক পাচারের জন্য ড্রোনগুলি ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন বাহিনীর ওই সূত্র। ২০১৯-২০ সাল থেকে এই ড্রোন উপদ্রব শুরু হয়েছিল। এখন পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পার করে পঞ্জাবে মাদক পাচারের জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ড্রোনই ব্যবহার করে পাচারকারীরা। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাম্প্রতিক কিছু অভিযানে এমন বেশ কিছু ড্রোন উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে মাদকও। গত ১ নভেম্বরও অমৃতসরের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম থেকে দু’টি ড্রোন উদ্ধার করেছিল বিএসএফ। তার পাশেই পড়ে ছিল ৫৭০ গ্রাম মাদক।