গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
১২ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে মুণ্ডচ্ছেদ করার অপরাধে দাদা ও কাকা, দু’জনকেই ফাঁসির সাজা দিল মধ্যপ্রদেশের একটি স্থানীয় আদালত। আদালত জানিয়েছে, এটি বিরলেরও বিরলতম একটি ঘটনা। সেই কারণে দু’জনকেই ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি আইনজীবী তাহির খান জানিয়েছেন, বিচারপতি উমাশঙ্কর আগরওয়াল ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬-এ (ধর্ষণ) ও ৩০২ (খুন) ধারায় দু’জনকেই ফাঁসির সাজা দিয়েছেন।
শুনানির সময় জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ নিখোঁজ হওয়ার পর ওই নাবালিকার দেহ একটি মাঠের মধ্যে পাওয়া যায় কয়েকদিন পরে। পরে জানা যায়, ওই নাবালিকার দাদা তাকে তুলে নিয়ে যায় কাকার বাড়িতে। সেখানে ধর্ষণ করে দু’জনে। তারপর কাস্তে দিয়ে মাথা কেটে ফেলে রেখে যায় মাঠে।
আইনজীবী জানিয়েছেন, মোট ২৯ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। খুনের অস্ত্র হিসাবে একটি রক্তাক্ত কাস্তে উদ্ধার হয়েছে ওই বাড়ি থেকে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ডিএনএ পরীক্ষা করেও দেখা হিয়েছে, এই কাণ্ড অভিযুক্তদেরই। আদালতে নির্যাতিতার আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘‘নিজের দাদাকে রক্ষা করতে হাতে রাখি বাঁধত বোন, সেই দাদাই এ ভাবে নারকীয় অত্যাচার চালাবে, তা সত্যিই ভাবনার অতীত।’’