সামসুল হক মেঙ্গনু।
হিজবুল জঙ্গিগোষ্ঠীতে এ বার এক আইপিএস অফিসারের ভাইয়ের যোগ দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। ওই আইপিএস অফিসার বর্তমানে কর্মসূত্রে রয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতে। বাড়ি দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানের দাগ্গুর গ্রামে।
নিহত হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৮ জুন হিজবুল জঙ্গিগোষ্ঠী সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্য নিযুক্ত বেশ কয়েক জনের ছবি শেয়ার করেছিল। সেখানেই দেখা যায় ওই আইপিএস অফিসারের ভাইকে।
হাতে অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক যুবক। দেহে লাগানো স্ট্র্যাপ থেকে ঝুলছে পিস্তল। ছবির সামনে লেখা রয়েছে যুবকের নাম, ঠিকানা। সঙ্গে লেখা রয়েছে হিজবুল জঙ্গিগোষ্ঠীর নামও। নাম সামসুল হক মেঙ্গনু। বছর পঁচিশের যুবক। জম্মু-কাশ্মীরের ব্যাচেলর অব ইউনানি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএউএমএস) কলেজের ছাত্র।
আরও পড়ুন: দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নিখরচায় গরিবদের চিকিৎসা দিতেই হবে: সুপ্রিম কোর্ট
গত ২২ মে কলেজ ক্যাম্পাস থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান সামসুল। তাঁর কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না এতদিন। তার পর থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধছিল, তা হলে কি সামসুল কোনও জঙ্গি দলে নাম লেখালেন? অবশেষে সেই আশঙ্কাই অবশেষে সত্যি হল।
হিজবুল জঙ্গিগোষ্ঠী যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিল সেখানেই দেখতে পাওয়া যায় সামসুলকে। তাঁর ছবি দেখে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি পুলিশও চমকে ওঠে।ছবিতে সামসুলের একটা কোড নামও দেওয়া হয়েছে— ‘বুরহান সানি’। সামসুলের ছবি সামনে আসার পরই তৎপর হয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ভোট করানোর প্রশ্নে দু’ভাগ দলগুলি
তবে সামসুল একাই নন, তাঁর মতো উপত্যকার আরও কয়েকজনশিক্ষিত যুবককে আগেও জঙ্গি দলে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। গত দু’বছরে সেই সংখ্যাটা ক্রমেই বেড়েছে। এক রিপোর্ট বলছে, এ বছরেই এখনও পর্যন্ত ৫০ জন জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছেন।
বুরহান ওয়ানির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ত্রাল-সহ শ্রীনগরের বেশ কয়েকটি জায়গায় গত কয়েক দিন ধরেই বেশ উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।