ব্রডগেজে অবরোধ। মঙ্গলবার নিউহাফলংয়ে। — বিপ্লব দেব
জমির ক্ষতিপুরণ মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরামের অনির্দিষ্টকালীন রেল অবরোধের লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে ট্রেন পরিষেবা বিপর্যস্ত হল।
আজ তার জেরে দুর্ভোগের মুখে পড়েন রেলযাত্রীরা। গুয়াহাটি থেকে শিলচরগামী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার এবং শিলচর থেকে গুয়াহাটিগামী ট্রেন নিউহাফলং ও বদরপুর স্টেশনে আটকে রাখা হয়। সকাল থেকে নিউহাফলং স্টেশনে আটকে থাকা রেল যাত্রীরা সমস্যা পড়েন খুচরো টাকার অভাবে। অনেকে খাবার কিনে খেতে পারেননি। অভিযোগ, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ রেলযাত্রীদের সুবিধায় কোনও পদক্ষেপ করেননি। এ দিন সকাল ১১টা থেকে প্রায় ৭ ঘন্টা নিউহাফলং স্টেশনে রেলযাত্রীরা আটকে থাকার পর সন্ধেয় ট্রেনটিকে লামডিং স্টেশনে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। কয়েক জন হাফলং থেকে সড়কপথে শিলচর, বদরপুর, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি রওনা দেন।
এ দিন বিকেলে ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফো্রামের সভাপতি ডেভিড কেভমের সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের বৈঠক হয়। তবে তাতে কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি। বৈঠকে হাজির ছিলেন ডিমা হাসাও জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক সোনারাম ক্ষণিকর, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের নির্মাণ শাখার লামডিং ডিভিশনের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার পি পি পাণ্ডে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হরেন তকবি ও উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের ভুমি ও রাজস্ব বিভাগের অফিসার পি জেমি।
ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের টাকা না মেটানোর বিষয় নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক। বৈঠকে রেলের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার পি পি পাণ্ডের সঙ্গে মতানৈক্য হয় ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসকের। ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ডেভিড কেভম দাবি জানান, ১৫ দিনের মধ্যে রেল কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিতে রাজি হলে অবরোধ তুলে নেওয়া হবে। কিন্তু রেলকর্তা এ নিয়ে কোনও আশ্বাস দিতে চাননি। কেভম জানিয়ে দেন, আগামী কাল থেকে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে।