—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিয়ের দিন পার্লারে সাজতে গিয়েছিলেন কনে। সেখান থেকেই পালিয়ে গেলেন! বিয়ের আসরে আর ফিরলেনই না তিনি। কনের জন্য অপেক্ষা করে বসে রইলেন বর। শেষে বিয়ে ভেস্তে গেল।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কানপুরের চৌবেপুর গ্রামের। গত ৩০ জানুয়ারি সেখানেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল যুগলের। কিন্তু পার্লার থেকে আর বিয়ে করতে আসেননি কনে। তাঁর সন্ধানে পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে।
কনের বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, বিয়ে উপলক্ষে তাঁর মেয়ে সাজগোজ করতে বন্ধুদের সঙ্গে নিকটবর্তী পার্লারে গিয়েছিলেন। পরনে ছিল লাল শাড়ি। সেই শাড়ি পরেই বিয়ের সাজে পার্লার থেকে বেরোন তিনি। কিন্তু সেখান থেকে বিয়ের আসরে যাওয়ার পরিবর্তে সোজা চলে যান অন্য রাস্তায়। যেখানে কনের জন্য অপেক্ষা করে ছিলেন তাঁর প্রেমিক। প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ের দিন পালিয়ে গিয়েছেন কনে।
বিয়ের তোড়জোড় সব সম্পন্ন হয়েছিল আগেই। আসরে কনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বর এবং বরযাত্রীরা। কনের পরিবারের লোকজনও বসেছিলেন বিয়ে দেখবেন বলে। দেরি দেখে তাঁরা বাড়িতে খোঁজ করেন। দেখা যায়, পার্লার থেকে বাড়িতেই ফেরেননি কনে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় সকলের কাছে। বর বাড়ি ফিরে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ বছর ধরে কনের পরিবার লখনউতে থাকছেন। লখনউয়ের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। প্রেমিক ভিন্জাতের ছিলেন বলেই বিয়েতে আপত্তি করেছিল পরিবার। সমজাতের যুবকের সঙ্গে তরুণীর বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। কানপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাঁর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। সেই বিয়ে ভেস্তে গিয়েছে।
গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ বরের পরিবার। তারা জানিয়েছে, আগে থেকে তরুণীর প্রেমের কথা জানা সত্ত্বেও অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছে ওই পরিবার। এতে তাঁরা অপমানিত হয়েছেন।